ফটোগ্রাফার থেকে পুরনো সামগ্রী বিক্রেতা আবদুর রশিদ
- বিনোদন প্রতিবেদক
- ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
১৫ বছর ধরে উজবেকিস্তান তাশখন্দের ইয়াঙ্গি আবাদ বাজারে পুরনো সামগ্রী বিক্রি করছেন আবদুর রশিদ মদবাবায়েভ, যিনি একসময় পেশাদার ফটোগ্রাফার ছিলেন। আজ তিনি ক্যামেরা, পুরনো মুদ্রা, এবং অন্যান্য সংগ্রহযোগ্য বস্তু বিক্রি করে জীবিকা উপার্জন করছেন।
বাজারে তার পুরনো ক্যামেরাগুলোর প্রতি আগ্রহী দুই ধরনের ক্রেতা আসেন- ফটোগ্রাফার এবং সংগ্রাহক। আবদুর রশিদ বলেন, ‘কিছু ক্রেতা আমার ক্যামেরাগুলো ছবি তোলার জন্য কিনে, আর কিছু ক্রেতা এগুলো সাজানোর জন্য কিনে। তবে আমি বেশি আগ্রহী ফটোগ্রাফারদের সাথে আলাপ করতে।’
আবদুর রশিদ মদবাবায়েভের ফটোগ্রাফির প্রতি আগ্রহ শৈশব থেকেই শুরু। সোভিয়েত ইউনিয়ন সময়ে, তিনি বিভিন্ন শখের ক্লাবে অংশ নিতেন। তিনি বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নের সময়ে অনেক ক্লাব ছিল যেখানে নানা ধরনের শখ শেখানো হতো। আমি বিশেষভাবে আকৃষ্ট ছিলাম ফটোগ্রাফির প্রতি।’
তিনি তার প্রথম ক্যামেরা হিসেবে জেনিট টিটিএল ফিল্ম ক্যামেরাটি উল্লেখ করেন, যা তখনকার সময়ে খুবই জনপ্রিয় ছিল। তিনি বলেন, ‘এটি ছিল সেই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ক্যামেরা, যার দাম ছিল ইঞ্জিনিয়ারের মাসিক বেতনের সমান।’
আবদুর রশিদ বাজারে পুরনো সামগ্রী বিক্রি করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি গ্রাম থেকে গ্রামে, অঞ্চল থেকে অঞ্চল ভ্রমণ করি পুরনো জিনিসপত্র কিনতে। কখনো কখনো স্থানীয় বাজার থেকেও সংগ্রহ করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি অনেক কিছু সুরখান্দারিয়া, কাশকাদারিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চলের বাড়ি থেকে কিনেছি।’
ফটোগ্রাফির পাশাপাশি, আবদুর রশিদ প্রকৃতির প্রেমিকও ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রকৃতির ছবি তোলাতে বিশেষভাবে ভালোবাসতাম, বিশেষত পাহাড়, শরৎ এবং বসন্তের দৃশ্য।’
ফটোগ্রাফির বাইরেও আবদুর রশিদ সাহিত্য, বিশেষত মনোবিজ্ঞান এবং ধর্মীয় বই পড়তে পছন্দ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার শৈশবে আমি বই পড়তে ভালোবাসতাম, বিশেষ করে মনোবিজ্ঞান এবং ধর্মীয় সাহিত্য।’
আবদুর রশিদ মদবাবায়েভ তার পুরনো সামগ্রী সংগ্রহের জন্য একটি জাদুঘর খুলতে চান। তিনি বলেন, ‘যদি পারতাম, আমি একটি পুরনো সামগ্রীর জাদুঘর খুলতাম যেখানে আমার সংগ্রহগুলো সবাই দেখতে পারবে।’
ইয়াঙ্গি আবাদ বাজারটি তাশখন্দের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্র, যেখানে স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং ব্যবসায় একত্রিত হয়। বিক্রেতারা, যেমন- আবদুর রশিদ, শুধু ব্যবসায় করেন না, তারা নিজেদের গল্প এবং ঐতিহ্যও তুলে ধরেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা