‘চাচা হেনা কোথায়’ সংলাপ নিয়ে যা বললেন বাপ্পারাজ
- সাকিবুল হাসান
- ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০, আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৫৮
বাংলা সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পর্দা থেকে দূরে থাকলেও, তার অভিনীত সিনেমার দৃশ্যগুলো প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সম্প্রতি তার এক পুরোনো সিনেমার একটি সংলাপ- ‘চাচা, হেনা কোথায়?’ নিয়ে আবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মজার ঝড় উঠেছে। একসাথে সয়লাব হয়ে গেছে এ সংলাপটি, যেখানে হাজারো মানুষ একে অপরকে প্রশ্ন করছে, ‘হেনা কোথায়?’
বাপ্পারাজ এই ভাইরাল হওয়া নিয়ে বিশেষ কোনো আশ্চর্য অনুভূতি প্রকাশ না করলেও, বিষয়টি নিয়ে বেশ হাস্যরস করেছেন। তিনি জানান, ‘হঠাৎ করে ভাইরাল হয়ে যাই, এটা আমি বিশ্বাস করি না (হাস্যরসাত্মকভাবে)। দু-তিন দিন ধরে দেখছি, ক্লিপটা মানুষ শেয়ার করছে। কেন? একসাথে এত মানুষের সম্পর্ক ভেঙে গেছে নাকি!’
তিনি আরও বলেন, ‘হেনা তো এখন নাঈমের ঘরে সুখে আছে। আমিও পরিবার নিয়ে হাসি-ঠাট্টায় জীবন পার করছি। মানুষের হঠাৎ কী হলো!’
বাপ্পারাজ এই ভাইরাল দৃশ্যের শুটিংয়ের স্মৃতি মনে করে বলেন, ‘এফডিসিতে শুটিং হয়েছিল। বিশ্বাস করবেন না, শুটিংয়ের আগে ও পরে আমরা অনেক মজা করেছিলাম। সেই সময় মনে হয়নি যে এতদিন পরে এসে এই দৃশ্যটা ভাইরাল হবে।’ তিনি বলেন, ‘গান ‘প্রেমের সমাধি ভেঙে’ শুটিংয়ের সময়, পরিচালক বললেন, গড়াগড়ি খেতে হবে। ৩০ বছর আগে যখন গ্রামে নদী ছিল, তখন বেশির ভাগ মানুষ বাড়িতে টয়লেট বানাত না। গড়াগড়ির দৃশ্যও ভাইরাল হয়ে গেছে!’ তিনি আরো বলেন, ‘আমি পজিটিভ মানুষ। দৃশ্যগুলো সবাই আনন্দিত হয়ে দেখে। আমাকে প্রেমে ছ্যাঁকা খাওয়ার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর মনে করে অনেকে, তবে আমি খুশি। মানুষ তো ভালোবাসা দেয়, আমার প্রমাণ যে আমি হারিয়ে যাইনি।’
প্রেমের প্রসঙ্গ উঠলেই বাপ্পারাজকে ‘প্রেমে ছ্যাঁকা খাওয়া’ নিয়ে মজা করা হয়। তবে তিনি জানিয়েছেন, বাস্তবে তিনি কখনো ছ্যাঁকা খাননি, বরং ছ্যাঁকা দিয়েছেন। ‘জীবনে একটাই সিরিয়াস প্রেম করেছি, তাকেই বিয়ে করেছি। আমাদের প্রেমটা চলচ্চিত্রের চেয়ে কম কিছু নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী বিয়ের জন্য বিদেশ থেকে বাংলাদেশে এসেছিলেন, এটা আমাদের প্রেমের সত্যিকারের পরিচয়।’
এফডিসির বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে এই অভিনেতা বলেন, কিছুদিন আগে এফডিসিতে গিয়েছিলাম। এফডিসি মনে হলো শূন্য, বিরানভূমি। এমন কখনো দেখিনি। পরিচালক সমিতিতে কয়েকজন পরিচালক ছিলেন, শিল্পী সমিতিতে শুধু স্টাফরা।’ তিনি শোনেন, ‘সাধারণ শিল্পীদের আসা-যাওয়া নেই, যা খুব দুঃখজনক।’
নতুন ছবিতে না দেখা যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গত শক্রবারও একটি ছবির প্রস্তাব পেয়েছি। পাণ্ডুলিপি পড়ে দেখলাম বেডসিন। এই বয়সে আমি কি বেডসিন করব? আরে ভাই, আগে দেখে আয় আমার ছবি গুলো!’ তিনি বলেন, ‘ওটিটিতেও কিছু প্রস্তাব পেয়েছিলাম, সেগুলোও ছিল অ্যাডাল্ট কনটেন্টের।’ তবে তিনি বলেন, ‘শুটিং মিস করি, তবে সমাজ নষ্ট করার অধিকার আমার নেই।’
বর্তমান চলচ্চিত্রের পরিস্থিতি নিয়ে তিনি খুব বেশি আগ্রহী নন। ‘খুব একটা নতুন ছবি দেখি না, তবে মাঝখানে শাকিব খানের দুটি ছবি দেখেছি। তবে কিছু সংলাপের প্রতি আমি হতাশ।’ তিনি বলেন, ‘নির্মাতাদের উচিত, কোন সংলাপ কিভাবে শিল্পী ডেলিভারি করবে, তা বুঝিয়ে দেওয়া।’ নিজের রাজলক্ষ্মী প্রোডাকশন থেকে ছবি নির্মাণের বিষয়ে বাপ্পারাজ বলেন, ‘এখন ছবি নির্মাণ মানে নিজেকে অপরাধী করে তোলা। ইন্ডাস্ট্রি যদি স্বাভাবিক হয়, তখন আবার ছবি নির্মাণের কথা ভাবব।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা