রাজা চার্লসের ডকুমেন্টারি ও মেগান-হ্যারির চ্যালেঞ্জ
- সাকিবুল হাসান
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
রাজা চার্লস, ব্রিটিশ রাজপরিবারের বর্তমান রাজা, তার নতুন ডকুমেন্টারি সিরিজের জন্য অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন। এই ডকুমেন্টারিটি রাজা চার্লসের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো তুলে ধরবে, বিশেষ করে তার পরিবেশগত উদ্যোগ এবং প্রকৃতি, মানুষ ও নির্মিত বিশ্বের মধ্যে সম্পর্কের ওপর তার গভীর বিশ্বাস। ডকুমেন্টারির মূল উদ্দেশ্য হলো, রাজা চার্লসের ‘হারমনি : অ্যা নিউ ওয়ে অব লুকিং অ্যাট আওয়ার ওয়ার্ল্ড’ বইয়ের ধারণাকে বিশ্বব্যাপী দর্শকদের সামনে তুলে ধরা, যা ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। ডকুমেন্টারি শুটিংয়ের কাজ ইতোমধ্যে স্কটল্যান্ডের ‘ডামফ্রিস হাউজে’ শুরু হয়েছে, যা দুই হাজার একর জমির বিশাল একটি স্থানে অবস্থিত। ডামফ্রিস হাউজটি রাজা চার্লসের ব্যক্তিগত উদ্যোগগুলোর কেন্দ্রবিন্দু। যেখানে তিনি পরিবেশ, স্থাপত্য এবং মানুষের জীবনযাত্রার সম্পর্ক নিয়ে নানা প্রকল্প পরিচালনা করছেন। এই ডকুমেন্টারি বলার চেয়ে দেখানোর (শো, নট টেল) ধারণায় নির্মিত হবে, যা প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ও তার উন্নয়নে রাজা চার্লসের দৃষ্টিভঙ্গি বিশ্লেষণ করবে। একটি প্রাসাদ সূত্রের মতে, রাজা চার্লস খুবই উত্তেজিত এবং আশাবাদী যে এই ডকুমেন্টারিটি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে তার পরিবেশবাদী কাজ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে নতুন দর্শকদের আগ্রহী করে তুলবে।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে যে, রাজা চার্লস আশা করেন এই উদ্যোগগুলো অনেক মানুষের চিন্তাধারা এবং আচরণে পরিবর্তন আনবে, বিশেষ করে সাসটেইনেবল উন্নয়ন এবং পরিবেশের প্রতি যতœবান হওয়ার দিকে। এদিকে, এই ডকুমেন্টারিটির ঘোষণা আসার পরপরই মেগান মার্কল ও প্রিন্স হ্যারি তাদের নতুন রান্নার শো নেটফ্লিক্সে প্রকাশের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এই শোটি তাদের ব্যক্তিগত জীবন এবং রান্না সংক্রান্ত দক্ষতা নিয়ে তৈরি হবে এবং এটি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সাথে রাজা চার্লসের চুক্তির জন্য একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়ে উঠতে পারে। মেগান ও হ্যারি ইতোমধ্যে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সাথে একটি লাভজনক চুক্তি করেছে, যা তাদের ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলোকে আরও বৃহৎ পরিসরে পৌঁছানোর সুযোগ সৃষ্টি করবে। রাজা চার্লসের এই ডকুমেন্টারিটি ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের শুরুতে মুক্তি পাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ডকুমেন্টারি শুধু রাজপরিবারের প্রচারের মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং একটি পরিবেশগত আন্দোলন হিসেবে বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে। এর ফলে রাজপরিবারের সদস্যদের সমাজে ভূমিকা এবং দায়বদ্ধতা নতুন করে আলোচনায় আসবে।
মেগান ও হ্যারির নেটফ্লিক্স শো, যা রান্নার শো হিসেবে পরিচিত হবে, তা রাজা চার্লসের এই উদ্যোগের সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতায় চলে আসবে। যদিও রাজপরিবারের বাইরের জীবনযাত্রা নিয়ে মেগান ও হ্যারির প্রকল্পগুলো বর্তমানে ব্যাপক মনোযোগ পাচ্ছে, তবুও রাজা চার্লসের পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলোর প্রতি তার গভীর আগ্রহ এবং বিশ্বব্যাপী তা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা রাজপরিবারের আরও একটি নতুন চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা