লালন উৎসবে নীনা হামিদ, শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন মুন্নী
- বিনোদন ডেস্ক
- ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
জ্যামাইকার ম্যারি লুইস একাডেমিতে দ্বিতীয়বারের মতো এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক লালন ও লোক উৎসবের আয়োজন করে লালন পরিষদ ইউএসএ। এবারের উৎসবে বাংলাদেশ, ভারত, লন্ডন, কানাডা ও আমেরিকার বিভিন্ন স্টেট থেকে প্রায় ২০০ শিল্পী ও কলাকুশলী অংশ নেন। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন জীবন্ত কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী নীনা হামিদ। এ সময় তার পাশে ছিলেন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন নবী, প্রধান উপদেষ্টা নুরুন আমিন বাবুসহ আয়োজক ও অনুষ্ঠান সহযোগীরা। দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এই লালন উৎসবে নতুন প্রজন্মের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। উৎসবে বাংলাদেশ থেকে আগত গুণী সঙ্গীতশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নীর পরিবেশনা উপস্থিত সবাইকে মুগ্ধ করে। বিশেষত তার গানে নীনা হামিদ মুগ্ধ হয়ে তার গায়কীর ভীষণ প্রশংসা করেন। উদ্বোধনের পরপরই নীনা হামিদসহ সবাইকে পাশে রেখে মুন্নী প্রথম গেয়ে ওঠেন, ‘আমার সোনার ময়না পাখি’ গানটি। এরপর সবার অনুরোধে নীনা হামিদও এই গান গেয়ে শোনান সবাইকে। মুন্নী এবং নীনা হামিদের পরপর একই গানের পরিবেশনায় অনুষ্ঠানজুড়ে এক অন্যরকম ভালো লাগার সৃষ্টি হয়েছিল। দিনাত জাহান মুন্নী বলেন, ‘আমার পরম সৌভাগ্য হলো যে আমি শ্রদ্ধেয় নীনা আপার পায়ের কাছে বসে গাইতে পেরেছি। জীবনে মাঝে মাঝে এমন কিছু সময় আসে যা বিশ^াস করা অনেক সময় কঠিন হয়ে যায়। আমার গান শেষ করার পর নীনা আপা আমার মাথায় হাত রেখে আমাকে আশীর্বাদ করলেন। এটা কতবড় প্রাপ্তি তা ভাষায় প্রকাশের নয়। আমি এবারই প্রথম লালন উৎসবে অংশগ্রহণ করেছি। রাত যত গভীর হচ্ছিল মানুষের উপস্থিতি যেন বেড়েই চলছিল। কেউই অনুষ্ঠান শেষ করার আগে নিজের স্থান ছেড়ে যাননি। আয়োজকদের কষ্ট সার্থক হয়েছে।’ এ ছাড়াও মুন্নী আলাদাভাবে আরো পরিবেশন করেন ‘আশা পূর্ণ হলো না’ ও ‘বকুল ফুল বকুল ফুল’ গান দুটি। অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা মন্দিরা চক্রবর্ত্তীর পরিবেশনাও দর্শককে মুগ্ধ করে। লন্ডন থেকে আসা অদিতি রায়ের বিশেষ আলেখ্য হু এম আই দর্শক বেশ উপভোগ করেন। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ ছিল রোড আইল্যান থেকে যোগ দেয়া মহিতোষ তালুকদার তাপস ও তার দলের বিশেষ পরিবেশনা। লালন ছিলেন একজন মানবতাবাদী সাধক। যিনি ধর্ম, বর্ণ, গোত্রসহ সব প্রকার জাতিগত বিভেদ থেকে সরে এসে মানবতাকে সর্বোচ্চ স্থান দিয়েছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা