শবনমের ২৫ বছরের অপেক্ষা
- বিনোদন প্রতিবেদক
- ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
দীর্ঘ ২৫ বছর যাবত একটি নতুন সিনেমাতে অভিনয়ের অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়িকা শবনম। ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমায় সর্বশেষ নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর তাকে আর কোনো সিনেমা অভিনয়ে দেখা যায়নি বিগত ২৫ বছরে। এটা সত্যিই অবাক করার মতো বিষয়ই বটে। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয়ও হলেও এটাই সত্যি যে দীর্ঘ ২৫ বছর তার কাছে এমন কোনো মৌলিক গল্পের সিনেমাতে অভিনয়ের প্রস্তাব যায়নি যে তাতে তিনি মুগ্ধ হয়ে অভিনয় করবেন। একটি সময় ছিল যখন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি নায়িকা শবনমকে বাংলাদেশের দর্শক ‘হারানো দিন’, ‘চান্দা’, ‘তালাশ’, ‘নাচের পুতুল’-এর নায়িকা হিসেবেই বেশি চিনতেন। তারপর অবশ্য তিনি বাংলাদেশের ‘সন্ধি’, ‘শর্ত’, ‘সহধর্মিণী’, ‘যোগাযোগ’, ‘জুলি’, ‘বশিরা’, ‘দিল’সহ আরো অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন। তার পরবতী সময় অর্থাৎ ১৯৯৯ সালের ২৫ জুন কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘আম্মাজান’ সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে আজ অবধি দর্শক তাকে ‘আম্মাজান’ হিসেবেই খুব সহজে চিনেন। দীর্ঘদিন তিনি পাকিস্তানের সিনেমাতে অভিনয় করেছেন বিধায় অনেকেই আবার মনে করতেন তিনি পাকিস্তানের নায়িকা। কিন্তু এই ধারণাও ভুল ছিল। তার আসল নাম ঝরনা বসাক। ‘আম্মাজান’র পর আর কোনো সিনেমাতে অভিনয়ে দেখা যায়নি শবনমকে। এরই মধ্যে বেশ কয়েক বছর আগে তিনি হারিয়েছেন স্বামী বরেণ্য সুরস্রষ্টা, সঙ্গীত পরিচালক রবিন ঘোষকে। একমাত্র ছেলে রনিকে নিয়েই তিনি রাজধানীর একটি অভিজাত এলাকায় বসবাস করছেন। শবনম বলেন, ‘আর কোনো দিন সিনেমাতে অভিনয় করব কিনা জানি না। তবে ইচ্ছেতো আছেই, গল্প মৌলিক হলে ভেবে দেখব। দেখতে দেখতে ৭৭ টি বছর পার করে দিলাম। অথচ এখনো মনে হয় এই তো সেদিনের কথা, বাবা মায়ের সঙ্গে সময় কাটছে, স্কুলে যাচ্ছি, ফিল্ম করছি। আর এখন ভাবলে মনে হয় কত সময় চলে গেছে জীবন থেকে। জীবনের কত রূপ দেখেছি, নানা বয়সে জীবনের সৌন্দর্যকে উপভোগ করেছি। কত কত মানুষের সঙ্গে পরিচয়, কত কিছু শিখেছি এক জীবনে, কত কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। আবার হারিয়েছিও অনেক প্রিয়জনকে। সত্যি বলতে কী মৃত্যু পর্যন্ত জীবন সুখ-দুঃখের খেলা। এখনো সুস্থ আছি, ভালো আছি-এটাই কম কিসের। বয়স তো আর কম হলো না। সবার দোয়া ও ভালোবাসা চাই।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা