‘চাঁদনী’ মুক্তির ৩৩ বছর পেরিয়ে সুখী দম্পতি তারা
- বিনোদন প্রতিবেদক
- ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
বাংলাদেশের সিনেমার অন্যতম আদর্শ তারকা দম্পতি নাইম-শাবনাজ। যাদেরকে এখনো সিনেমার পর্দায় দেখতে প্রতিনিয়ত দর্শক আগ্রহ প্রকাশ করেন। জীবন চলার পথে কখনো কোথাও নাইম-শাবনাজ দর্শকের মুখোমুখি হলে দর্শকের বিশেষ অনুরোধই থাকে তারা যেন আবারো সিনেমায় ফিরেন। দর্শকের এই অকৃত্রিম ভালোবাসার মধ্যে নিজেদেরকে প্রতিনিয়তই নতুন করে আবিষ্কার করেন নাইম-শাবনাজ। কিন্তু নাইম-শাবনাজ জানান, আপাতত সিনেমায় ফেরার কোনোই পরিকল্পনা নেই দু’জনের। দু’জনই এখন বর্তমান জীবনটা আনন্দ, ভালোলাগা নিয়ে উপভোগ করছেন। দু’জনই তাদের দুই সন্তান নামিরা ও মাহাদিয়ার জীবন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কারণ দু’জনই পড়াশোনা নিয়েই ব্যস্ত। এ দিকে আজ ৫ অক্টোবর নাইম-শাবনাজ তাদের বিবাহিত জীবনের ৩০ বছর পেরিয়ে ৩১ বছরে পা রাখলেন। আবার ১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছিল এহতেশাম পরিচালিত নাইম-শাবনাজের প্রথম সিনেমা ‘চাঁদনী’। বাংলাদেশের সিনেমায় তারুণ্যের অভিষেক হয়েছিল এই ‘চাঁদনী’ সিনেমা দিয়েই। ‘চাঁদনী’ সিনেমাটি দর্শকের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেললে জুটি হিসেবেও প্রতিষ্ঠা পান নাইম-শাবনাজ। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত নাইম-শাবনাজ অভিনীত ‘চাঁদনী’, ‘সোনিয়া’, ‘দিল’, ‘বিষের বাঁশি’, ‘চোখে চোখে’, ‘অনুতপ্ত’ , ‘লাভ’ সিমোগুলো দর্শকের কাছে বেশ দর্শকপ্রিয়তা পায়। এই সিনেমাগুলো ছিল তখন দর্শকের কাছে ভীষণ প্রিয় সিনেমা আর জুটি হিসেবে নাইম-শাবনাজও ছিলেন দর্শকের কাছে ভীষণ প্রিয় জুটি। ১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি নাইমের বাবা খাজা মুরাদ ইন্তেকাল করায় মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েন নাইম। ১৯৯৪ সালেরই ৫ অক্টোবর শাবনাজকে বিয়ে করেন নাইম। মূলত শফিউল আজম পরিচালিত ‘বিষের বাঁশি’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়েই নাইম ও শাবনাজের প্রেমের সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। এই প্রসঙ্গে নাইম বলেন, ‘এই সিনেমাতে শাবনাজের চরিত্রের নাম ছিল ময়না। সেই তখন থেকে আজ অবধি তাকে আমি ময়না বলেই ডাকি। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা বেশ ভালো আছি। আল্লাহর দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া যে, তিনি আমাদের সুস্থ রেখেছেন, ভালো রেখেছেন। আমাদের দুই সন্তান দুই মেয়ে নামিরা ও মাহাদিয়াকে আল্লাহ ভালো রেখেছেন। সবার কাছে আমরা দোয়াপ্রার্থী, আল্লাহ যেন বাকি জীবন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করেন।’ বিবাহিত জীবন এবং চলচ্চিত্র জীবন প্রসঙ্গে শাবনাজ বলেন, “আল্লাহর অশেষ রহমত যে, নাইমের মতো পরিপূর্ণ একজন মানুষকে আমি জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি। আমার সুখে-দুঃখে যেমন নাইম সবসময় পাশে থেকেছে, আমিও তার সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। আমরা সুন্দর একটি জীবন গড়েছি, সুখী একটি পরিবার গড়েছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা দু’জন দু’টি গর্বিত সন্তানের বাবা-মা। ওদেরকে ঘিরেই আমাদের যত স্বপ্ন এখন। ওদের জন্যই সবার কাছে দোয়া চাই, আর পরম শ্রদ্ধা রইল আমাদের প্রথম সিনেমার পরিচালক শ্রদ্ধেয় এহতেশাম স্যারসহ আমাদের সিনেমার পরিচালকদের প্রতি।”
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা