২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ব্যালট ছাপা শুরু, জেলায় যাবে ২৫ ডিসেম্বরের পর

- ফাইল ছবি

প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আমরা ৩০০টি আসনের প্রার্থীদের তালিকা পেয়েছি। যেসব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই বা পেন্ডিং নেই, সেগুলো প্রথমে মুদ্রণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর ব্যালট পেপার যাবে জেলায় জেলায় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি বলেন, তিনটি সরকারি ছাপাখানায় এ কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসেই ছাপা শেষ হবে। এই মুদ্রণে প্রাথমিক চাহিদায় ৩৩ কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।

আগারগাওস্থ নির্বাচন ভবণে নিজের দফতরে মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৩টায় সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসির এই অতিরিক্ত সচিব।

সংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, বিজি প্রেসের যে সরকারি তিনটা প্রেস রয়েছে, সেখানে পুরোদমে ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ চলছে। ব্যালট মুদ্রণের ক্ষেত্রে যেসব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়েছে বা মামলা পেন্ডিং রয়েছে, সেগুলো আমরা পরে প্রিন্টিং করব।

তিনি বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা ব্যালট পেপার প্রিন্টিংয়ের কাজ শেষ করতে চাই। সে আলোকে যেসব নির্বাচনী এলাকায় কোনো মামলা নেই বা পেন্ডিং নেই, সেগুলো প্রথমে মুদ্রণ করা হবে।

যেসব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়ে গেছে বা হাইকোর্ট থেকে প্রার্থিতা ফিরে পাচ্ছেন বা বাতিল হতে পারে। সেসব এলাকার প্রার্থীদের প্রতীকসহ ব্যালট পেপার মুদ্রণ করা হলে পুনরায় মুদ্রণ করা লাগতে পারে। সুতরাং যেসব নির্বাচনী এলাকায় মামলা রয়েছে সেগুলো সবার শেষে মুদ্রণ করা হবে।

কতটি আসনে এরকম মামলা আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪০টির বেশি নির্বাচনী এলাকায় মামলা চলমান।

কি পরিমাণ বাজেট রাখা হয়েছে বা চূড়ান্ত করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যালট মুদ্রণ হচ্ছে সরকারি প্রেস থেকে। সুতরাং সুনির্দিষ্ট কোনো বাজেট নাই। বিজি প্রেসের চাহিদার প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে ৩৩ কোটি টাকা তাদের কাগজ ক্রয়ের জন্য দেয়া হয়েছে। এ বরাদ্দই এখন পর্যন্ত দেয়া হয়েছে। ভোটার সংখ্যা অনুযায়ী ব্যালট পেপার ছাপা হবে।

কবে থেকে ব্যালট পেপার জেলায় জেলায় পাঠানো হবে জানতে চাইলে ইসির এ অতিরিক্ত সচিব বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বরের পর থেকে জেলায় জেলায় ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু হবে। যেগুলো আগে কমপ্লিট হবে সেগুলো আগে পাঠানো হবে।

অতিরিক্ত সচিব জানান, ব্যালট পেপার রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যাবে। এখান থেকে যদি তিনি সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে পাঠান তাহলে সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। কারণ ভোটের দিন জেলা থেকে সব উপজেলায় পাঠানো সম্ভব হবে না। ভোটের দিন অনেক মালামাল পাঠাতে হয়। কেন্দ্র অনুযায়ী ব্যালট বাছাই করতে হয়, সেট করতে হয়। সেজন্য আগেই সরকারি রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হবে।

সেক্ষেত্রে ব্যালট পেপারের নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, নিরাপত্তা দেয়া দায়িত্ব তো আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর। তাদেরকে আমরা নিরাপত্তা দিতে বলেছি। নিরাপত্তা সহযোগেই কিন্তু ব্যালট পেপারগুলো রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পাঠানো হবে। নিরাপত্তা কমিশন স্পেসিফিক বলে দেবে না এ বাহিনী নিরাপত্তা দেবে।

 

 


আরো সংবাদ



premium cement