বর্তমান সীমানা ঠিক রেখে ৩০০ আসনের খসড়া সীমানা প্রকাশ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:৪৫
বর্তমান সীমানাকে ঠিক রেখে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন (ইসি) তার ওয়েবসাইটে ৩ শ’ সংসদীয় আসনের খসড়া সীমানা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার বাসিন্দাদের কাছে থেকে লিখিত দাবি বা আপত্তি বা সুপারিশ বা মতামত আহ্বান করছে নির্বাচন কমিশন।
রোববার নির্বাচন কমিশনের আদেশক্রমে ইসি সচিব মো: অহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ইসি বলছে, নির্বাচন কমিশন সকল দাবি বা আপত্তি বা সুপারিশ বা মতামত প্রকাশ্য শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করবে। শুনানির বিস্তারিত কর্মসূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যথাসময়ে জানানো হবে।
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯-এর দফা (১) এর উপ-দফা (গ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১-এর ধারা ৮-এর উপ-ধারা (১)(খ) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ-সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক নির্বাচনি এলাকাগুলোর সীমানা উপরোক্ত আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জনসংখ্যার বাস্তব বিভাজনকে যতদূর সম্ভব বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকার সীমানা পুন:নির্ধারণ করে ধারা ৬-এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন এতদসংগে একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকাটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে লিখিত দাবি বা আপত্তি বা সুপারিশ বা মতামত আহ্বান করছে।
সীমানা পুন:নির্ধারণে নিম্নোক্ত পাঁচটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে বলে ইসির প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলার ২০১৮ সালে নির্ধারিত মোট আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। প্রশাসনিক ইউনিট বিশেষ করে উপজেলা এবং সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ডের যথাসম্ভব অখণ্ডতা বজায় রাখার প্রতি নজর দেয়া হয়েছে। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর এলাকার ওয়ার্ড একাধিক সংসদীয় আসনে বিভাজন না করা এবং যে সকল নতুন প্রশাসনিক এলাকা সৃষ্টি হয়েছে বা সম্প্রসারণ হয়েছে বা বিলুপ্ত হয়েছে তা অন্তর্ভুক্ত করা এবং ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যথাযথ বিবেচনায় রাখা।
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা, কোনো সংক্ষুদ্ধ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আগামী ১৯ মার্চ তারিখের মধ্যে কোনো আসনের পুন:নির্ধারিত নির্বাচনি এলাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর তার লিখিত দাবি বা আপত্তি বা সুপারিশ বা মতামত পেশ করতে পারবেন। তবে দাবি বা আপত্তি বা সুপারিশ বা মতামত এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কোনো আসনের সীমানা সংক্রান্ত হতে হবে। দাবি বা আপত্তি বা সুপারিশ বা মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত ৫ (পাঁচ) প্রস্থ দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের পর কোনো দাবি বা আপত্তি বা সুপারিশ বা মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত গ্রহণ করা হবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা