ইসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, রাষ্ট্রপতির কাছে ১০১ আইনজীবী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:০৩, আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ২২:০৬
দুর্নীতি ও গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্যান্য কমিশনারদের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০১ জন আইনজীবী।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির ভবনে ১০১ আইনজীবীর সই করা আবেদনটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়। আবেদনটি সাংবাদিকদের সরবরাহ করেন আবেদনকারীরা।
আইনজীবীদের দেয়া চিঠিতে ইসির বিরুদ্ধে প্রশিক্ষণ বাজেটে টাকা হাতিয়ে নেয়া, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম, নিয়ম বহির্ভূতভাবে কমিশনারদের গাড়ি ব্যবহার, ইভিএম কেনা ও ব্যবহারে গুরুতর অনিয়ম, নির্বাচনে সংঘটিত অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্লিপ্ততা ও ব্যর্থতা, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে অযোগ্যতা ও বিশেষ বক্তা হিসেবে দেখিয়ে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ তদন্তের দাবিয়ে জানিয়েছেন তারা।
এছাড়া আবেদনে তারা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দুঃখজনক বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের অর্পিত দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অভিনব কৌশলে টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিজেরা লাভবান হওয়ার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান মতে সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত থেকে এসব গুরুতর অনৈতিক ও অর্থ সংশ্লিষ্ট অসদাচরণ অভিশংসনযোগ্য অপরাধ। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা হওয়া প্রয়োজন।
আবেদনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ১১৮ (৫) মতে অনতিবিলম্বে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে তদন্তের মাধ্যমে দুর্নীতিপরায়ণ ও গুরুতর অসদাচরণে অভিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনারদের অপসারণ প্রয়োজন। এজন্য তদন্ত চলাকালীন সময়ে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রেখে তদন্তকালীন সময়ে দায়িত্ব পালনের জন্য একজন নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছেন তারা।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাসহ বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচারণের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে গত ১৪ ডিসেম্বর ও ১৭ জানুয়ারি আবেদন করেছেন দেশের বিশিষ্ট ৪২ বিশিষ্ট নাগরিক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা