নিজে গিয়েই ভোটকেন্দ্র দখল মুক্ত করছেন ইশরাক, দিচ্ছেন এজেন্ট
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:৫৬
বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা, কেন্দ্র দখল করে রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগ শুনে সেই সব কেন্দ্রে ছুটে যাচ্ছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিএনপি'র মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
বেলা ১টা পর্যন্ত তিনি ৮টি কেন্দ্র ঘুরেছেন। সবগুলো কেন্দ্রে তিনি যাওয়ার পর বিএনপির সমর্থক ও নেতাকর্মীরা তার কাছে ছুটে আসেন এবং অভিযোগ করেন তাদের ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না। কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ভেতরে এজেন্ট নেই। অন্যরা ভোট দিয়ে দিচ্ছেন-এ রকম নানা অভিযোগ।
এসময় ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে কথা বলে সমস্যা সমাধান করছেন। ধানের শীষসহ স্থানীয় বিএনপি সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের এজেন্টদের তিনি কেন্দ্রের ভেতরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন।
স্বামীবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বিএনপি'র এজেন্ট বের করে দেয়া হয়। সেসময় ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছিল। পরে ইশরাকের উপস্থিতিতে ভোট দিতে আসেন ভোটাররা। এছাড়া এই কেন্দ্রসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে ভোটারদের হয়রানি করার তথ্য পাওয়া গেছে।
কয়েকজন ভোটার অভিযোগ করেন যখন তারা ভোট দিতে ভেতরে প্রবেশ করেন তখন তাদের এ কক্ষ না সে কক্ষে বলে বার বার ঘুরানো হয়।
স্বামীবাগ কেন্দ্রে ইশরাক হোসেনকে ভোটাররা অভিযোগ করে বলেন এক ব্যক্তি গোপন কক্ষে অবস্থান করে সকলের ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। পরে সাংবাদিকদের সামনে ইশরাক হোসেন সেই ব্যক্তি কে কাজ না করার আহ্বান জানালেন তিনি প্রতিশ্রুতি দেন পরবর্তীতে আর তিনি এ ধরনের কোনো কাজ করবেন না।
পরে সেখান থেকে তিনি করাতিটোলা সি.এম.এস মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ,রায়েবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার টেকনোলজি ইনস্টিটিউট কেন্দ্রও পরিদর্শনে যান।
ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন অজুহাতে আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হচ্ছে। কোথাও জোর-জবরদস্তি করে আবার কোথাও এজেন্টের এই ভুল-সেই ভুলে বলে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আবার মহিলা কেন্দ্রে পুরুষ থাকা যাবে না বলে এজেন্টকে ঢুকতে দেয়া হয়নি, অথচ মহিলা কেন্দ্রে পুরুষ এজেন্ট থাকতে পারবে।
তিনি বলেন, আমি প্রত্যেক জায়গা যেয়ে এজেন্টদেরকে কেন্দ্রে ঢোকানোর চেষ্টা করেছি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সাড়ে ৬ হাজার এজেন্ট রয়েছে, সাড়ে ১১শত কেন্দ্র রয়েছে। এখন আমি একা কতগুলো কেন্দ্রে যাবো, কতগুলো কাভার করবো। তারা যে এই ধরনের কারচুপি করবে সেটা আমরা আগে থেকেই জানতাম, আমরা আগে থেকেই বলে আসছি। এখন আপনারা দেখতে পারছেন।
ভোটাররা যখন হাতের ছাপ দিয়ে ব্যালট পেপার একটিভ করছে তখন তাদের এজেন্ট যেয়ে তাদের মার্কায় ভোট দিয়ে দিছে। এটাই সবখানে হচ্ছে। আমি যেখানে যাচ্ছি সেখানে ভোটারা আমাকে জাপ্টে ধরে বলছেন ভোট দিতে পারছি না। যদি সম্ভব হত তাহলে আমি সবাইকে হেল্প করতাম। আমিতো চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু কিচ্ছু হচ্ছে না। আমি চেষ্টা করে যাব, আমি লড়াই করে যাব। শেষ পর্যন্ত তো অবশ্যই মাঠে থাকবো।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা