২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪ আশ্বিন ১৪৩১, ২৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

রোকেয়া হলের ভোটগ্রহণ শুরু এক ঘণ্টা দেরিতে

রোকেয়া হলের ছাত্রীদের দীর্ঘ লাইন - সংগৃহীত

সোমবার সকাল ৮টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন শুরু হলেও রোকেয়া হলে এক ঘণ্টা দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ বিষয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সালমা আক্তার বলেন,‘কিছু জটিলতার কারেণ নির্ধারিত সময়ে ভোট শুরু হয়নি।’

তবে কী ধরনের জটিলতা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি। তবে হলের ছাত্রীদের একটি সূত্র বলছে, ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগেই প্রার্থীরা খালি ব্যালট বাক্স দেখতে চায়, কিন্তু হল প্রশাসন তাদেরকে খালি ব্যালট বাক্স দেখতে দেয়নি। ফলে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা মিলে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখে।

রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী উম্মে কুলসুম অভিযোগ করেন, আমাদের হলে অস্বচ্ছ ব্যালট বক্স নিয়ে ঝামেলা হয়। এরপর আমরা ভোট দান বন্ধ রেখেছিলাম।

রোকেয়া হলে ভোটকেন্দ্র করা হয়েছে টিভি রুমে। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের যেতে দেয়া হচ্ছে না। হল গেট থেকে বলা হচ্ছে এখন ভেতরে যাওয়া যাবে না। ভোট দেরিতে শুরু হওয়ায় ছাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

ছাত্রদলের জিএস প্রার্থী আনিসুল হক অনিক বলেন,‘কী কারণে ভোটগ্রহণ দেরিতে শুরু হয়েছে আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। আমরা প্রভোস্ট ম্যাডামকে বলার পর ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দেরি করার যৌক্তির কারণ দেখি না। ব্যালট ব্যাক্স আমাদের সামনে খুলে সিলগালা করা হলেও কোনও বাক্সেই নম্বর নেই। ফলে এ নিয়ে আমরা শঙ্কায় রয়েছি।’

রোকেয়া হল সংসদের ছাত্রলীগের ভিপি প্রার্থী ইসরাত জাহান তন্বী বলেন,‘আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যলালয় প্রশাসন ৮টার আগে ব্যালট বাক্স খুলে দেখিয়েছে। পরবর্তীতে অন্যান্য দল ও প্যানেলের যারা ছিল তারা বিরোধিতা করায় ভোটগ্রহণ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ছেলেদের ১৩ ও মেয়েদের ৫ হলে মোট ভোটার রয়েছে ৪৩ হাজার ২৫৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৬ হাজার ৯৪৪ যা মোট ভোটারের ৬২ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং নারী ১৬ হাজার ৩১২ জন; যা মোট ভোটারের ৩৭ দশমিক ৭১ শতাংশ।

সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৬০৮ জন ভোটার রয়েছে রোকেয়া হলে এবং সবচেয়ে কম ১ হাজার ৩৪৬ জন ভোটার রয়েছে অমর একুশে হলে। এর মধ্যে ছেলেদের বিজয় একাত্তর হলে ৩ হাজার ১৫৫, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ২ হাজার ৫২, ফজলুল হক মুসলিম হলে ২ হাজার ১৭৫, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ১ হাজার ৯৮১, জগন্নাথ হলে ২ হাজার ৪৯৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হলে ১ হাজার ৭৯৯, কবি জসীমউদ্দীন হলে ১ হাজার ৬৫৮, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ২ হাজার ৫৭, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ১ হাজার ৮১৪, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ২ হাজার ৩০১, স্যার এ এফ রহমান হলে ১ হাজার ৮৪০, মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ২ হাজার ১৭০ জন। এ ছাড়া মেয়েদের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে ২ হাজার ২৮৮, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে ১ হাজার ৯২৮, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩ হাজার ৭২৪, শামসুন্নাহার হলে ৩ হাজার ৭৬৪ জন ভোটার রয়েছেন।

পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, ছেলেদের হলগুলোর গণরুমের শিক্ষার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের প্রভাবের কারণে ছাত্রদের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভোট পেতে পারে ছাত্রলীগ। তবে মেয়েদের হলগুলোতে ছাত্রলীগের একপেশে প্রভাব না থাকায় যেকোনো দিকে যেতে পারে তাদের সমর্থন।


আরো সংবাদ



premium cement
মিয়ানমার থেকে ৮৫ বাংলাদেশী আজ দেশে ফিরছেন হিজবুল্লাহর প্রধান নাসরাল্লাহকে হত্যার পর লেবাননে আরো ইসরাইলি হামলার আশঙ্কা মসজিদ থেকে ফেরার পথে মাইক্রোর ধাক্কায় ৪ শিশু শিক্ষার্থী নিহত কানপুরে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হতে বিলম্ব তিস্তার পানি কমলেও ভাঙন আতঙ্কে বাসিন্দারা তালতলী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মামুন, সাধারণ সম্পাদক চুন্নু নির্বাচিত রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে অভিযুক্ত ইরানি গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ উড়তে থাকা বার্সাকে মাটিতে নামালো ওসাসুনা নিহত সেনা কর্মকর্তা তানজিমের পরিবারের সাথে জামায়াত আমিরের স্বাক্ষাৎ মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ঝরনায় সাময়িক পর্যটক প্রবেশ নিষেধ

সকল