১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১ ফাল্গুন ১৪৩১, ১৪ শাবান ১৪৪৬
`

আবারো ববি ভিসির কার্যালয়ে তালা, পদত্যাগ দাবি

ভিসি অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা - ছবি : নয়া দিগন্ত

আড়াই মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ভিসি অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্টের সহযোগী, আওয়ামী পুর্নবাসনসহ একাধিক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা ভিসির কার্যালয় তালাবদ্ধ করেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ভিসির বাসভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীদের ভিসির পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এর আগে, মাত্র আড়াইমাস আগে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ফ্যাসিস্ট সরকারে সহযোগী ও ফ্যাসিস্টের পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলে ভিসির কার্যালয় তালাবদ্ধ করেন এবং পদত্যাগের দাবি করেন।

শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন এবং এসব দাবির প্রেক্ষাপটে তারা এক দফার ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘ভিসি যদি এসব দাবির প্রেক্ষাপটে তার অবস্থান পরিস্কার না করেন তাহলে তাকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।’

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো হলো

১. মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও নিয়ম বহির্ভূত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট রেজিস্ট্রারকে বহাল রেখে অসাধু সুবিধা দেয়ার জন্য পাতানো গোপন সিন্ডিকেট সভার আহ্বান।

২. ২৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নৃশংস হামলায় অংশ নেয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের আগাম জামিন পাওয়া ও ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ না হওয়া।

৩. নিয়মবহির্ভূত ভাবে দু’জন সিন্ডিকেট সদস্যকে বাদ দিয়ে চিহ্নিত আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের নিয়ে পাতানো গোপন সিন্ডিকেটের নাটক মঞ্চস্থ করা।

৪. আইন, সংবিধানের দোহাই দিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের স্বপদে বহাল রেখে মূল পদে আনার কুচক্রী পায়তারা চালানো।

৫. গত ছয় মাসেও ২২ দফার কোনো রকম প্রতিফলন করতে ব্যর্থ হওয়া।

৬. ক্যাম্পাস অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের অবাধ বিচরণ, মাদক সেবন ও ভাঙচুরের বিরুদ্ধে প্রশাসন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হওয়া।

আন্দোলনরত রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আপনারা দেখেছেন, ভিসি-বিরোধী একটি আন্দোলন হয়েছিল। সেখানে কিছু শর্ত দেয়া হয়েছিল। ভিসি বলেছিলেন, তিনি সেই শর্তগুলো পূরণ করবেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি কোনো কথাই রাখেননি। সেই ভিত্তিতেই আজ আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি। আমরা এর কোনো ব্যাখ্যা চাই না-আমাদের এক দফা, এক দাবি, ভিসির পদত্যাগ।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম ও প্রথম নারী ভিসি হিসেবে নিয়োগ পান ড. শুচিতা শরমিন। নিয়োগের দু’ মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিস্টের সহযোগিতার অভিযোগ এনে তার পদত্যাগ দাবি করেন।


আরো সংবাদ



premium cement