এক বছরেই বিসিএস পরীক্ষা সম্পন্নের সুপারিশ সংস্কার কমিশনের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:০৩
বিসিএসসহ সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজতর করা, বাছাই থেকে নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন নিশ্চিত করা এবং এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা সম্পন্নের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে কমিশনের সুপারিশে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী ও কমিনের অন্যান্য সদস্যরা প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মোমিনুর রহমান ও তার কমিশনের সদস্যদের নিয়ে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন।
কমিটি বর্তমান প্রক্রিয়া মাত্রাতিরিক্ত দীর্ঘ উল্লেখ করে সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়া বিশেষ করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) জন্য একটি সুনির্দিষ্ট সময়সীমা প্রণয়নের সুপারিশ করেছে।
প্রতিবেদনে পরীক্ষাকে সমন্বিত লিখিত পরীক্ষায় রূপান্তরের সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জনপ্রশাসনের জন্য মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা বা আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। যাতে তা সহজে পরিবর্তন করা না যায়।
এতে বিসিএস পরীক্ষার মূল লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস সংশোধন ও ছয়টি আবশ্যিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়।
আবশ্যিক ছয়টি বিষয় হলো- ১০০ নম্বরের বাংলা রচনা, ১০০ নম্বরের ইংরেজি রচনা, ১০০ নম্বরের ইংরেজি রচনা ও সারাংশ লেখা, ১০০ নম্বরের বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি; ১০০ নম্বরের আন্তর্জাতিক ও সমসাময়িক বিষয়াবলি এবং ১০০ নম্বরের সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ এবং ভূগোল।
এতে আরো বলা হয়েছে, আবশ্যিক বিষয়ের পাশাপাশি ছয়টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটিতে ১০০ নম্বর) বিসিএসের মূল লিখিত পরীক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
কমিশন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে মেধাতালিকাসহ চূড়ান্ত বিসিএস ফল প্রকাশের সুপারিশ করে বলেছে, প্রার্থীরা প্রায়ই তাদের নম্বর নিয়ে বিভ্রান্তির সম্মুখীন হন।
টানা তিনবার বিসিএস পরীক্ষায় অকৃতকার্য প্রার্থীরা ভবিষ্যতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য হবেন না বলেও এতে উল্লেখ করা হয়েছে।