কারিগরি শিক্ষাই আগামীর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫১
আগামীতে সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়তে কারিগরি শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, শিক্ষা নিয়ে আমার কিছু স্বপ্ন আছে। আমি অনুভব করি, কারিগরি শিক্ষা হবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। এ শিক্ষা ছাড়া দেশের এত বেশি বেকারত্ব দূর করা সম্ভব নয়। তাই কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব বাড়াতে হবে। তা না হলে আমরা উন্নতি করতে পারব না।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে বিভাগের সভাকক্ষে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন অ্যাডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ইরাব)-এর নেতাদের সাথে মতবিনিময় সভায় সচিব এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষাসচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম মাদরাসা শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে বলেন, শিগগির দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্তির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ মানুষ মুসলিম। তাদের বড় একটা অংশ সন্তানদের মাদরাসায় পড়াতে চান। কাজেই মাদরাসা শিক্ষাকে মাইনাস করে আমরা চলতে পারব না।
ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন থেকে অবহেলিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেয়া হয়নি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই মাদরাসাগুলো পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করা হবে। এজন্য ইতোমধ্যে আমরা উদ্যোগও নিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি এখানে দায়িত্ব নেয়ার পর ইবতেদায়ি মাদরাসা নিয়ে দু’টি উদ্যোগ নিয়েছি। প্রথমত, এসব মাদরাসা জাতীয়করণে অন্তত প্রথম ধাপ হিসেবে এমপিওভুক্ত করা। ইতোমধ্যে আমার অফিসারকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। তারা এ নিয়ে কার্যক্রম শুরুও করেছেন। দ্বিতীয়ত, এসব মাদরাসায় বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনের জন্য আলাদা প্রজেক্ট করার নির্দেশনা দিয়েছি। তারা একটি ডিপিপি তৈরির প্রক্রিয়া শিগগির শুরু করবেন।
ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালুর করা এবং মিড ডে মিল চালুর প্রজেক্ট নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই সচিব বলেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোতে এক ধরনের করুণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ছোটবেলায় আমাদের গ্রামে একটি ইবতেদায়ি মাদরাসা ছিল। বর্তমানে সেটি বন্ধ হয়ে সেখানে বাজার বসেছে। এসব মাদরাসাগুলো বাঁচানোর দরকার।
মতবিনিময় সভায় বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদরাসা অনুবিভাগ) মো: নজরুল ইসলাম, ড. মো: আয়াতুল ইসলাম (কারিগরি অনুবিভাগ), সামসুর রহমান খান (প্রশাসন ও অর্থ), ড. মো: সিরাজুল ইসলাম (উন্নয়ন অনুবিভাগ), মো: আজিজ তাহের খান (অডিট ও আইন), ইরাবের সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, সহ-সভাপতি শাহেদ মতিউর রহমান, ইরাবের সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, নিজামুল হক, শরীফুল আলম সুমন, মীর মোহাম্মদ জসিমসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।