১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে : শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টাসহ অন্যরা - ছবি : ইউএনবি

শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি একনেক সভায় পাস হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ছাত্র-শিক্ষকরা এখনো জানেন না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির বিষয়ে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে উপদেষ্টা একথা বলেন।

বৈঠক শেষে উপদেষ্টা বলেন, আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে একনেক সভায় প্রকল্প পাস করিয়ে নিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, কেরানীগঞ্জে সম্পূর্ণ নতুন ক্যাম্পাস তৈরি করা হবে। বাংলাদেশে এত বড় ক্যাম্পাস আগে কখনো তৈরি করা হয়নি। পাকিস্তান আমলের শেষে শুধু জাবি ক্যাম্পাস স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা ক্যাম্পাস হয়েছিল।

এত বড় মেগা প্রকল্প আমরা নেব কিনা দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, একনেকের গত মিটিংয়ে অনুমোদন হয়েছে। তবে এই বিষয়ে ছাত্ররা-শিক্ষকরা জানেন না। কারণ, এখন পর্যন্ত কার্যবিবরণী জারি হয়নি।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রাবাস থাকবে, প্রশাসনিক ভবন থাকবে, স্কুল থাকবে, চিকিৎসাকেন্দ্র থাকবে, এ রকম একটা প্ল্যান করার অনুমতি একনেক থেকে পাস করে দেয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, এটাকে এই অন্তর্বর্তী সরকারের একটা মেগা প্রকল্প হিসেবে মনে করা যেতে পারে। এটার শুরুটা হবে এখন।

উপদেষ্টা বলেন, আর তাদের যে চলমান প্রকল্প আছে সেখানে কিছু জমি অধিগ্রহণ করা এবং জমিগুলো ঠিকঠাক করে কিছু প্রাথমিক কাজ করার। সেটা হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ফেইজ। প্রথম ফেইজটাও ওরা জানার আগে আমি নিজ উদ্যোগে, পরিকল্পনা কমিশনে পড়েছিল অনেকদিন ধরে। আমি সেটা পাস আগেই করিয়ে দিয়েছিলাম।

চলমান প্রকল্প নিয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা আরো বলেন, প্রকল্প নিয়ে আমি তাদের অভিযোগ বুঝতে পারি। এত বছরে প্রকল্পটা কেন হচ্ছে না, ভূমি অধিগ্রহণ কেন হয়নি, তারা বলছে, প্রকল্প পরিচালকের অনেক দুর্নীতি হয়েছে। আমি বলেছি, তদন্ত করে দেখুক অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রকল্প পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নতুন পরিচালক নিয়োগ দেয়া হোক।

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বুয়েটের মাধ্যমে তারা প্রথম প্রকল্প পরিচালনা করছে। এটা এগিয়ে নেয়া যেতে পারে। তারা চাচ্ছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তাদের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হোক। তাতেও কোনো সমস্যা নেই। তারা যদি সেটা চায়, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তো স্বায়ত্তশাসিত অনেকাংশে, তারা যদি সেটা চায়, তাহলে ইউজিসির মাধ্যমে, মন্ত্রণালয়ের এতে কোনো আপত্তি নেই। বরং আমরা সহায়তা করব কী করে তাদের সাথে সেনাবাহিনীর যোগাযোগ করিয়ে দেয়া যায়। মন্ত্রণালয় এতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, সম্পূর্ণ বিষয়টা তারা নিজেরাও বলেছে ভুল বোঝাবুঝির জন্য হয়েছে। তাদের আন্দোলনের আগেই অনেক কিছু করে দিয়েছি। প্রথম ফেইজ পাস করিয়ে দিয়েছি নিজের উদ্যোগে। মহাপরিকল্পনাটাও আমরা একনেক সভায় পাস করিয়ে দিয়েছি। তারা এটা অবগত ছিল না।

উপদেষ্টা বলেন, তাদের কিছু দাবি আছে সেগুলো বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সমাধান করা যেতে পারে। তারা চাচ্ছে এতদিন যত দুর্নীতি হয়েছে, তার একটা হোয়াইট পেপার (শ্বেতপত্র)। আমি বললাম আমি কী তোমাদের জন্য পেপার তৈরি করব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আছে তারা তৈরি করবেন।

ছাত্ররা কি আন্দোলন থেকে ফিরে যাচ্ছে- এ বিষয়ে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ওরা আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছে। আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে শুধুমাত্র ছাত্রদের সাথে দেখা করার জন্য এসেছি। মনে করেছি যে আমি তাদের সমস্যার সকল সমাধান দিতে পেরেছি।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement