দ্রুত সময়ে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের দাবি জবি ছাত্র নেতাদের
- নুর আলম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
- ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যম্পাসের কাজ দ্রত সময়ের মধ্যে শেষ করা, আবাসন সঙ্কটের সমাধান, ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান উন্নত করাসহ স্বৈরাচারের দোসরদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতারা।
আজ রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সভাকক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসংশ্লিষ্ট বিষয়াদির সমাধানে গঠিত কমিটির সাথে ছাত্র সংগঠনের মতবিনিময় সভায় নেতারা এসব দাবি জানান।
এ সময় উক্ত কমিটির আমন্ত্রণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল, ছাত্র শিবির, ছাত্র ফ্রন্ট, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার প্রতিনিধিসহ কমিটির শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় জবি ছাত্র দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, ১৬ বছর ধরে যাদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা হয়রানি ও হামলার শিকার হয়েছে, তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। ছাত্রলীগের কোনো সদস্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেছে এমনটি প্রমাণিত হলে তার সনদ বাতিলের দাবি জানাই। বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে মিলে কাজ করতে চাই।
এ সময় তিনি জুলাই বিপ্লবে আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা জন্য আর্থিক ফান্ড কালেকশন, ই-লাইব্রেরির আধুনিকায়ন ব্যবস্থা করাসহ শহীদ ও আহতদের জন্য সম্মাননা স্মারক দেয়ার দাবি জানান।
সভায় শাখা ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল আসাদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া দলীয় ও রাজনৈতিক সুপারিশে শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ বন্ধ করে নিজ ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিতে হবে। এ সময় তিনি যত্রতত্র অনলাইন ক্লাস বন্ধ করে বিভাগের ক্লাস শিক্ষক মূল্যায়নের জন্য রেটিং ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ইভান তাহসিব বলেন, সেনাবাহিনীর হাতে কাজ তুলে দেয়া ছাড়া বিকল্প নেই। একই সাথে প্রশাসন যেন সতর্ক থাকে ডিলটা কিভাবে হবে। এছাড়া টিএসসি সংস্কারসহ এই জায়গাটা কিভাবে সংস্কার করা যায়, তা দেখা দরকার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সংস্কার আন্দোলনের প্রতিনিধি নূর নবী বলেন, বারবার বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে জকসু নির্বাচন, ক্যান্টিনে ভর্তুকি, হলের বিষয় নিয়ে কোনো অগ্রগতি দেখিনি। স্বৈরাচারের দোসরদের তালিকা হয়নি। এগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের সমস্যা নিরসন কমিটির আহ্বায়ক রইছউদ্দীন বলেন, আমাদের কোনো দল মত নেই। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে আমরা কাজ করে যাব। নতুন ক্যাম্পাসের জমি নিয়ে নাকি অনেকে মিলিয়নিয়ার হয়ে গেছে। আমরা তাদের পরিচয় জানতে চাই।
এছাড়া মতবিনিময় সভায় জবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, ছাত্র শিবিরের সভাপতি ইকবাল হোসেন সিকদার বক্তব্য রাখেন। উপস্থিত ছিলেন সংস্কার আন্দোলনের প্রতিনিধি মাসুদ, আতিকুর রহমান তানজিল প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা