০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ৩ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

জবি ক্যাম্পাসে শুধু প্রতিষ্ঠাতা খালেদা জিয়ার ম্যুরাল থাকবে

- নয়া দিগন্ত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল কালো কালি দিয়ে মুছে দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে ভিসি ভবনের সামনে নির্মাণ করা হচ্ছে জবির প্রতিষ্ঠাতা বেগম খালেদা জিয়ার নামফলক ও ম্যুরাল। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠাতার নামফলক চাইলেও কোনো দলীয় ম্যুরাল চান না শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ভিসির সাথে সাক্ষাৎ করে এসব দাবি জানান একদল শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের দাবি, যদি ম্যুরালের বিপরীতে আরেকটি ম্যুরাল তৈরি করা হয়, তাহলে ক্যাম্পাস আবার দলীয়করণ করা হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে দলীয় রাজনীতি চান না। তেমনি দলীয় কোনো প্রতীকও চান না।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নামফলক স্থাপনে কারো কোনো অভিযোগ নাই। কিন্তু ক্যাম্পাসে আবার কারো ম্যুরাল স্থাপন করলে পুরাতন মডেলে ক্যাম্পাস দলীয়করণ হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব বলেন, আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এসেছি। আমরা চাই না ক্যাম্পাসে দলীয় কারো ম্যুরাল তৈরি হোক। শিক্ষার্থীরাও এটা চায়। একটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতিষ্ঠাতা নামফলক বসাতে পারে। কিন্ত যখন ম্যুরাল স্থাপনের দিকে যাবে, তখন আবার ক্যাম্পাস দলীয়করণের দিকে যাবে।

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ভিসি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট সমন্বয়ের জন্য একটা কমিটি করা হয়েছে। তারা যেহেতু ম্যুরাল তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে আমি ম্যুরালের তৈরির পক্ষে। তবে তোমাদের দাবির প্রশ্নে আমার উত্তর হলো, সংশ্লিষ্ট কমিটি এ কাজটি করছে। এখানে আমার কিছু করার নেই।

এ সময় ইয়াসিন পিয়াস, স্বর্ণা রিয়া, এ কে এম রাকিব ও ইভান তাহসীব উপস্থিত ছিলেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড়
এদিকে জবি ক্যাম্পাসে খালেদা জিয়ার ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

আমরা জকসু চাই গ্রুপে সামিউল ইসলাম সামীম লেখেন, ‘আমি তো ভাবছিলাম নামফলক, এখন দেখি ম্যুরাল হবে। আবারো ছবি রাজনীতি। এগুলোকেই বলে দলীয় লেজুড়বৃত্তি।’

আরেক শিক্ষার্থী সাজরিয়ান রহমান কাকন বলেন, ‘যখন নাকি বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙা হলো তখন সবাই বাহবা দিল। কারণ ম্যুরাল নাকি হিন্দু সংস্কৃতি। আর এখন ম্যুরাল বানানো হবে এখন আর হিন্দুয়ানা নাই। এখন নাকি প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে দেখা লাগবে। বাঙালি সুবিধামতো দৃষ্টিকোণ বদলায়। ভালোই। আবার সেই রাজনীতি শুরু।’

এ দিকে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট বিষয় সমন্বয়ের কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন বলেন, এটা কোনো ম্যুরাল নয়। এটা হচ্ছে ছবি সংবলিত নামফলক। ফ্যাসিবাদ দীর্ঘদিন ধরে একটি ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। এখন আবার ইতিহাস সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

তবে একই কমিটির সদস্য ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, নামফলক আর ম্যুরাল এক জিনিস নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার স্বীকৃতি হিসেবে নামফলক থাকা দরকার। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নতুন কোনো ম্যুরাল জবি ক্যাম্পাসে স্থাপন করবে না। খালেদা জিয়াকে চেনানোর জন্য নামই যথেষ্ট, নামফলকের পাশে ছবির কোনো প্রয়োজন নাই। আল্লাহ এই মজলুম নেত্রীর সম্মান বাড়িয়ে দিন।


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলের ওপর হামলার জন্য ইরানের এক কমান্ডারকে পুরষ্কৃত করলেন খামেনেই একযোগে পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৩০ কর্মকর্তা বদলি জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী ডাবল লাইন রেলের নকশা জানুয়ারিতে চট্টগ্রামে সাবেক এমপি মোস্তাফিজুরসহ ৬৭ জনের নামে মামলা জ্বালানি সচিব নূরুল আলমকে ওএসডি করে নতুন সচিব নিয়োগ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের খেলার ব্যাপারে আশাবাদী পাকিস্তান ২৪ অক্টোবর ওলামা মাশায়েখ ও সুধী সম্মেলন করবে সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত পরিষদ ঘরের মাঠে সাকিবের অবসরের ভাল সুযোগ আছে : ফারুক গ্লোবাল লিগে বরিশালের অনীহা, খেলতে যাচ্ছে রংপুর সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রী রুকমীলার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা মাসুদ-শফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় সংগ্রহের পথে পাকিস্তান

সকল