১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
পালিয়ে যাচ্ছে মাফিয়া সদস্যরা

অপরাধীদের বিচার গুরুত্বপূর্ণ

-

৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত একদল মাফিয়া অবৈধভাবে দেশ চালিয়েছে। কয়েক ডজন মন্ত্রী জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদেশ-নিষেধ দিয়ে গেছে। এরা সবাই প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলে মানুষ নির্যাতন করেছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে গুম খুন ও দেশদ্রোহিতার গুরুতর অভিযোগ আছে। এই অপরাধী চক্র পুরোটাকে বিচার করা না গেলে দেশের ভবিষ্যৎ পথচলা বিঘিœত হতে পারে। হঠাৎ করে সরকার পতন হওয়ায় তারা তখন দেশ ছেড়ে পালাতে পারেনি। এদের গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার কথা। যদিও এর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের কোনো হদিস মিলছে না। বিপুলসংখ্যক অপরাধীর গ্রেফতার না হওয়া আশঙ্কাজনক। কারো কারো আটক হওয়ার খবর প্রকাশের পর জানা যাচ্ছে আটক হয়নি। এদিকে সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে অনেকেরই ভারতে আশ্রয় নেয়ার খবর মিলছে।
সহযোগী একটি দৈনিক খবর দিয়েছে, সিলেট সীমান্ত দিয়ে নানা অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের অনেক নেতা পালিয়ে যাচ্ছেন। তারা আশ্রয় নিচ্ছেন ভারতের গৌহাটি, শিলং, ডাউকিসহ আরো কিছু জায়গায়। এই সীমান্ত দিয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক পালিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে আটক হন। ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্নাও এই সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। তবে তাদের দু’জনের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায় তাদের কাছে থাকা বিপুল নগদ অর্থ। চোরাকারবারিরা মানিকের কাছ থেকে অর্থ কেড়ে নেয়, অন্যদিকে একই কারণে পান্নাও হত্যার শিকার হন ভারতে।
কয়েকজন মন্ত্রীসহ ৫০ থেকে ৬০ জন ওপারে চলে যাওয়া নিশ্চিত হওয়া গেছে সামাজিকমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রে। সেখানে তারা ভারতের স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা পাচ্ছেন। দেশটির সরকার তাদের প্রতি কোনো ধরনের কড়াকড়ি না করে নমনীয়তা দেখাচ্ছে। বাসাবাড়ি ভাড়া করে তারা নিরাপদে বসবাস করছেন। ভারত বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে তারা এ দেশের চিহ্নিত অপরাধীদের আশ্রয় দেয়, অতীতেও এমনটা দেখা গেছে। বিচারের মুখোমুখি হওয়ার বদলে এরা দেশটিতে স্বাধীনভাবে বসবাসের সুযোগ পেলে সেখান থেকে দেশের ভেতর নাশকতা উসকে দিতে পারে।
জানা যাচ্ছে, সিলেট সীমান্তের একটি চোরাচালানি চক্র ভারতীয়দের সহযোগিতায় মাফিয়া চক্রের সদস্যদের ভারতে যেতে সাহায্য করছে। বিষয়টি গুরুতর। অচিরেই তাদের ভারতে পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে হবে। সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে সক্রিয় করা দরকার। এ কাজে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্রসমাজকেও সতর্ক ভূমিকা রাখতে হবে। এদিকে আদালত সাবেক ১৮ মন্ত্রী ও আট এমপির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, মাফিয়া সরকারের হয়ে জনগণের বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ করেছেন এমন শত শত চিহ্নিত লোক গ্রেফতার হয়নি।
বিগত ১৫ বছরে দেশে হাজার হাজার অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। প্রত্যেকটি অপরাধের তদন্ত হতে হবে। এদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। মনে রাখতে হবে একটি অপরাধও বিচারের বাইরে থাকলে সেটি দায় হিসেবে থেকে যাবে। এজন্য সে কারণে পালিয়ে থাকা সব অপরাধীকে গ্রেফতার করা অত্যন্ত জরুরি।


আরো সংবাদ



premium cement
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজায় আসলে কী হয়েছিল? মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু করুন : তথ্য উপদেষ্টা বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’ পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কোন্নয়ন প্রচেষ্টায় নজর ভারতের এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট নাটোরে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে যুবদল নেতাসহ গ্রেফতার ৬ বহিরাগতমুক্ত ক্যাম্পাস গড়তে ঢাবিতে নামবে ‘মোবাইল কোর্ট’ ভিসা সমস্যার সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা মার্চেন্ট শিপিং ফেডারেশনের শহীদ পরিবার পাচ্ছে ৫ লাখ, আহতরা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা রাজশাহীতে শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হলেন অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম

সকল