২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
ঢাকা শহরে জলাবদ্ধতা নিরসন

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দরকার

-

বেশ কয়েক বছর ধরে বৃষ্টির পানিতে সারা শহরে এমন জলাবদ্ধতা দেখেননি ঢাকাবাসী। আগের সব বৃষ্টিতে হাঁটুসমান পানি জমলেও গত ১২ জুলাই শুক্রবারের বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও কোমরসমান পানি জমে যায়। আগে যে সড়কে পানি জমেনি; এবার সেখানেও জমে হাঁটুপানি। কার্যত নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি সবখানে ছিল থই থই পানি। গত শুক্রবার দীর্ঘ সময় ধরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহান রাজধানীবাসী।
ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন চার বছর আগে। নগরীর জলাবদ্ধতা দূর করার অনেক আশ্বাস তিনি বিভিন্ন সময়ে দিয়েছেন। গত বছর ১২ ফেব্রুয়ারি ওয়ারীতে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, বর্ষায় অতিবৃষ্টি হলেও ১৫ মিনিটের মধ্যে পানি নিষ্কাশিত হবে। গত ১৯ মে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতার সমস্যা ৭০ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমে এসেছে।
বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন। শুক্রবারের বৃষ্টির পানি দক্ষিণ সিটির অনেক এলাকা থেকে ১২ ঘণ্টা পরও সরেনি। ঢাকার জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। কিছুক্ষণ ভারী বৃষ্টি হলে নগরীর কোনো না কোনো এলাকা ডুববে, এটি যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ গত চার বছরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করেছে। ভারী বৃষ্টিতেও রাজধানী শহরে যাতে জলাবদ্ধতা না হয়, সে জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন গত চার বছরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে খরচ করেছে প্রায় ৩৬০ কোটি টাকা। অন্য দিকে ঢাকা উত্তর সিটি চার বছরে খরচ করেছে প্রায় ৩৭০ কোটি টাকা। এর সুফল কতটা, তা গত শুক্রবার সকালে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
গত শুক্রবার অবস্থা এমন হয় যে, অনেক স্থানে দোকানে-অফিসে পানি ঢুকে মালপত্র নষ্ট হয়েছে। বাসাবাড়িতে পানি ঢুকেছে। কোমরসমান পানিতে গাড়ি চলেছে। ডুবন্ত সড়কে চলতে গিয়ে বহু যান দুর্ঘটনায় পড়ে। কয়েক শ’ গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে।
শুক্রবার ভোর থেকে শুরু করে টানা দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ১৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ৬০ মিলিমিটার। এর পরও অবশ্য হয়েছে, তবে ভারী বৃষ্টি ছিল না। সকালের বৃষ্টিতে কোথাও পানি ছিল হাঁটুসমান, কোথাও কোমরসমান।
নগর পরিকল্পনাবিদদের মতে, জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার দুই সিটির কার্যক্রমে সমন্বিত পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট। জলাবদ্ধতা নিরসনে যা করা হচ্ছে আসলে তা সাময়িক ব্যবস্থা। কিছু নিয়মিত ও ছোট কাজ আছে, যেমন খাল ও নালা পরিষ্কার করা। এটি জলাবদ্ধতা নিরসনের একেবারে প্রাথমিক কাজ। প্রকৃত বাস্তবতায় স্থায়ী সমাধানে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়।
বাস্তবতা হলো, দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ ছাড়া ঢাকার জলাবদ্ধতার সমাধান সম্ভব নয়। তাই সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত বিবেচনায় নিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থা স্থাপন করতে হবে, যাতে অতিদ্রুত বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতে পারে।


আরো সংবাদ



premium cement
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের দাবির যৌক্তিকতা রয়েছে : ধর্ম উপদেষ্টা বাংলাদেশী অনুপ্রবেশের ইস্যু তুলেও ঝাড়খণ্ডে জিততে পারেনি বিজেপি ‘নতুন বাংলাদেশে কোনো চাঁদাবাজি চলবে না’ বাঘায় কৃষকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার মানুষ যাতে বৈষম্যের শিকার না হয় সেই প্র্যাকটিস আমরা গড়ে তুলতে চাই : তারেক দিনের শুরুতে স্বস্তি এনে দিলেন হাসান মাহমুদ কোনো নিরীহ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় : আইজিপি সাটুরিয়ায় তেলের পাম্পে আগুন দেশের মানুষ শুধু নির্বাচনের জন্য জীবন দেয়নি : মুফতি ফয়জুল করিম দুই দিনের ব্যবধানে আবারো বাড়ল স্বর্ণের দাম শহীদ আব্দুল্লাহর পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকার জামায়াত আমিরের

সকল