২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
গাজায় গণহত্যা বন্ধের লক্ষণ নেই

পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি দায়ী

-

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় ইতোমধ্যে ৩৬ হাজার ১৭১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮১ হাজার ৪২০ জন। নিহতদের মধ্যে ৭০ শতাংশ নারী-শিশু। ইতোমধ্যে গাজার প্রায় সব অবকাঠামো গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইল।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে ইসরাইলি আগ্রাসনের যে চিত্র পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এটি স্পষ্ট যে, ইসরাইল কার্যত ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ মানবতাবিরোধী অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে বাধাহীনভাবে। বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো ইসরাইলকে এ জঘন্য অপকর্ম থেকে বিরত রাখতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। জাতিসঙ্ঘে নামকাওয়াস্তে কিছু নিন্দা প্রস্তাব নেয়া হয়েছে। যার কোনো প্রভাব ইসরাইলি সরকারের ওপর পড়েনি। এ ক্ষেত্রে সব থেকে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, ইসরাইলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো তেলআবিবকে অমানবিক কর্মকাণ্ডে শুধু আদুরে গলায় মৃদু গালমন্দ করছে।
ফলে গাজা যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই। ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেবি গত বুধবার দেশটির সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যুদ্ধ চলতে পারে আরো সাত মাস। এমন এক সময় তিনি এ কথা বললেন, যখন প্রায় আট মাস ধরে চলা যুদ্ধের জেরে আন্তর্জাতিক মহলে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছে ইসরাইল।
গাজায় বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি দেশটির প্রধান মিত্ররা ইসরাইলের প্রতি ক্ষোভ জানাতে শুরু করেছে। কারণ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরাইলবিরোধী তীব্র ছাত্রবিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। দিন দিন এর তীব্রতা বাড়ছে। যে কারণে পশ্চিমা বিশ্বের সরকারগুলো মুখ রক্ষার জন্য হলেও বাধ্য হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছে।
ইসরাইলি বর্বরতার নমুনা ভূরি ভূরি। দিন পাঁচেক আগেও গাজার রাফায় শরণার্থী তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ওই হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বোমা ব্যবহার করে দেশটি। গত রোববার রাতের ওই হামলায় ২৩ শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে দুই শতাধিক। নিরাপদ ঘোষিত এলাকায় এ হামলার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, রাফায় তাঁবুর তৈরি আশ্রয়কেন্দ্রে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। রাতের বেলা বোমা হামলা ও আগুন থেকে নিজেদের রক্ষায় প্রাণপণ চেষ্টা করছে অনেক নারী-পুরুষ ও শিশু। ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুসহ অনেকের লাশ বের করে আনছেন উদ্ধারকারীরা। আলজাজিরাসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, ওই হামলার ঘটনায় অনেকে জীবন্ত পুড়ে মারা যান। বোমার আঘাতে শিশুদের শরীর ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শিশুর লাশও দেখা যায়।
এখন প্রশ্ন হলো, কোন বলে ক্ষুদ্র একটি রাষ্ট্র ইসরাইল এমন বেপরোয়া আচরণ করছে? বাস্তবতা হলো, দশকের পর দশক ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর নিষ্ঠুর আগ্রাসন চালালেও কথিত গণতন্ত্র ও মানবতার ফেরিওয়ালা যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটেনসহ পশ্চিমা দেশগুলো দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করাই এর কারণ। তাই দেখা যাচ্ছে, ইদানীং তেলআবিবের নিষ্ঠুরতা মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
আমরা মনে করি, পৃথিবীর যেকোনো জনগোষ্ঠীর নিজ মাতৃভূমিতে বসবাসের অধিকার আছে। ফিলিস্তিনিরা সেই অধিকার থেকে ৭৫ বছর ধরে বঞ্চিত। তাদের সেই অধিকার দিতে হবে। এ জন্য বিশ্ববাসীকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নিয়ে সঙ্ঘাতের অবসান ঘটাতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭ সাবেক প্রধান বিচারপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিমকোর্টের বিচারকাজ বন্ধ ফিরছেন শান্ত, অপেক্ষা বাড়ছে মুশফিকের জন্য পিক‌নিকের বা‌সে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু : পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ৭ ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে কুড়িগ্রাম, তাপমাত্রা ১৫.৬ ডিগ্রি ‘স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদমুক্ত দেশ গড়তে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে’ রাশিয়ায় শিক্ষার্থীদের ‘নির্মমভাবে’ গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিবাদ সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই তাজরীন ট্র্যাজেডির এক যুগ : পুনর্বাসনের দাবি আহতদের সিইসিসহ নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনারদের শপথ আজ জর্ডানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে গুলি, বন্দুকধারী নিহত

সকল