প্রান্তিক জেলাটির উন্নয়ন অপরিহার্য
- ১৯ মে ২০২৪, ০০:০৫
দৈনিক নয়া দিগন্তের চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রেন যোগাযোগের আধুনিকায়নের দীর্ঘ দিনের দাবি এখন সময়ের আবশ্যকীয় চাহিদা। দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর সোনামসজিদ, রহনপুর রেলবন্দর, ‘আম রাজ্যের পাদপীঠ’ ব্যাপকভিত্তিক আধুনিক বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ও ভৌগোলিক অবস্থানের গুরুত্বের জন্য আধুনিক ট্রেনযাত্রায় এ জেলাকে নতুন করে মূল্যায়ন করার সময় এসেছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রাচীন গৌড় বাংলার গৌরবময় রাজধানী। তা ব্রিটিশ রেলের সব আধুনিকতা নিয়ে এ অঞ্চলের রেল যোগাযোগের মাত্রা ছিল অনন্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রকট অবহেলার শিকার এ জেলার রেল উন্নয়ন। প্রান্তিক জেলা হওয়া সত্ত্বেও চাঁপাইনবাবগঞ্জকে বাদ দিয়ে বিভাগীয় শহরকে ঘিরে রেলের আধুনিকতা বৃদ্ধি পেতে থাকে। রাজশাহী থেকে ৭৬ জোড়া ট্রেন দেশের বিভিন্ন অংশে চলাচল করে থাকে। অথচ চাঁপাইনবাবগঞ্জে রয়েছে মাত্র ১২ জোড়া ট্রেনের শিডিউল। এর মধ্যে রয়েছে একটি মাত্র আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকাগামী ‘বনলতা’ এক্সপ্রেস। রাজশাহী থেকে শুধুই ঢাকাগামী ট্রেনের সংখ্যা চারটি। করোনা মহামারীর দোহাই দিয়ে ট্রেনগুলো প্রত্যাহার করা হলেও আজও সেগুলো চালু হয়নি।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের মতে, পুরো রাজশাহীর ট্রেন ব্যবস্থাপনাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিয়ে আসতে দরকার একটি শক্ত সরকারি সিদ্ধান্ত। ট্রেন ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে জেলার স্থলবন্দর সোনামসজিদ আর রহনপুরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেশের আমের রাজধানী খ্যাত এ জেলায় প্রতি আম মৌসুমে হাজার কোটি টাকার আমবাণিজ্য হয়। প্রাচীন নগরীর ইতিহাস ঘিরে পর্যটনের হাতছানিতে জেলায় কম মানুষ আসা যাওয়া করে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধান উৎপাদনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে আধুনিক অটো রাইস মিলের শিল্পাঞ্চল।
ইতোমধ্যে স্থানীয় এমপি আব্দুল ওদুদের প্রচেষ্টায় সোনামসজিদ পর্যন্ত রেলপথ প্রস্তাব আলোর মুখ দেখেছে। সোনামসজিদ পর্যন্ত তিনটি স্টেশনসহ প্রকল্পটিতে স্থলবন্দরের সাথে রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক সম্ভাবনাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রহনপুর রেলবন্দরটিকে আধুনিকায়নে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। জেলার আমনুরায় সমীক্ষা শেষ হয়েছে। রেলের নিজস্ব মাটি থাকায় মাটি অধিগ্রহণ করতে হচ্ছে না রেল মন্ত্রণালয়কে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মাত্র আন্তঃনগর ট্রেন দিয়েই গত এপ্রিলে রাজস্ব এসেছে ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ৫২৪ টাকা। ২০২২-২৩ এ রাজস্ব অর্জিত হয়েছে তিন কোটি ৮২ লাখ ৬৫ হাজার ৭৭৭ টাকা। রাজশাহী থেকে চাঁপাই পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। ২০১৭-১৮ সালে পুরো রেলপথটি আধুনিকায়ন করায় বনলতা এক্সপ্রেস রাজশাহী পৌঁছাতে সময় নেয় মাত্র ৪৫-৫০ মিনিট। রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি ট্রেনকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রিশিডিউলের দাবি জানিয়ে এমপি আব্দুল ওদুদ জানান, ট্রেন যোগাযোগে প্রান্তিক জেলা হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জকে মূল্যায়ন করার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনামসজিদ পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ হলে, তখন আর চাঁপাইনবাবগঞ্জকে অবমূল্যায়ন করার সুযোগ থাকবে না। ২০২৮ সালের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলেও তিনি জানান, যা নিকট ভবিষ্যতে ট্রেনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা