২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
বালিয়াডাঙ্গীতে ৪ হাজার গাছ কাটা হচ্ছে

এটা কিভাবে সম্ভব হলো?

-

দৈনিক নয়া দিগন্তের বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতা জানান, বালিয়াডাঙ্গীতে ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার চার হাজার গাছ কাটা শুরু করায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ সময়ে যখন তাপদাহে হাঁসফাঁস করছে সারা দেশ; প্রকৃতিকে ঠাণ্ডা করতে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে; অথচ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় উল্টো চিত্র। চার হাজার গাছ কেটে ফেলছে বন বিভাগ।
সরেজমিন দেখা যায়, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিছু শ্রমিক রাস্তার গাছ কাটছে। এক সপ্তাহে তিন শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানায়। গেল বছরেও এ উপজেলার বড়বাড়ি, আমাজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের ৪০ কিলোমিটার রাস্তার পাঁচ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়। পরে আট কিলোমিটার রাস্তার দুই পাশে নতুন গাছ লাগালেও ফাঁকা জায়গাগুলোতে গাছ লাগানোর অগ্রগতি দেখা যায়নি।
বন বিভাগ বলছে, আট ইউনিয়নে অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। দু’টি ইউনিয়নে গাছ কাটা শুরু হয়ে গেছে।
দরপত্র অনুযায়ী পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া থেকে তিলকরা সরাকান্দি পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার, ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ি থেকে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ি হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিণ্ডি থেকে খোঁচাবাড়ি হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা এবং দলুয়া হয়ে পান্তাভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ মোট ৩৭ কিলোমিটারজুড়ে রাস্তার পাশের বিশাল গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেয়া হয়েছে।
মশালডাঙ্গী গ্রামের কৃষ্ণ রায় মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি বলেন, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষেরা বিশ্রাম নেন। তীব্র দাবদাহে রাস্তার বিশালাকৃতির গাছ পাওয়া যায় না। যে ক’টা আছে সেগুলোও কেটে ফেললে এলাকাটা মরুভূমি হয়ে যাবে। কয়েকটা মাস গাছ না কাটলে উপকার হয়।
স্কুলছাত্র আবু শামীম বলেন, বাড়ি থেকে স্কুল সাত কিলোমিটার। রাস্তার দুই পাশের গাছগুলো কাটতে শুরু করেছে। স্কুলে যেতে কষ্ট হবে। রোদে মানুষসহ পশুপাখির জন্য পরিবেশ ভয়াবহ হয়ে উঠবে। পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী বলেন, দরপত্র যখন হয়েছে ঠিকাদার গাছগুলো ‘কাটবেই’। তবে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে লিখিত আকারে জানাব।
ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে দরপত্র আহ্বান করে কাটার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার বলেন, গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখতে ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি।
জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি ‘জানি না’। চার হাজার গাছ কেটে ফেলছে। ‘নিয়মকানুন মেনে কাটা হচ্ছে’ কি না খোঁজখবর নেয়ার পরই আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব।


আরো সংবাদ



premium cement
গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পাবেন বঞ্চিত অতিরিক্ত সচিবরা সম্পদের হিসাব জমা দিতে সময় পাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা ঢালাও মামলা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপ কী পাকিস্তানে জাতিগত সহিংসতায় ৩ দিনে নিহত ৮২ হেফাজত নেতাকে হত্যা মামলায় আসামি করার প্রতিবাদে স্মারকলিপি অটোরিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত, পুলিশের সাথে বৈঠক সোমবার ভারতে পালানোর সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা স্ত্রীসহ আটক রাবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নাব্যতা সঙ্কট, ফেরি চলাচল ব্যাহত সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেন সিইসি দ্বিতীয় দিনের মতো বেনাপোলে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ

সকল