বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা যাবে না
- ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
দৈনিক নয়া দিগন্তের মধুপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা জানান, মধুপুর শালবনে টিকে থাকা প্রাণীকূল প্রতিকূলের অবস্থা, চলমান তাপদাহে মরণাপন্ন। গাছপালা মরে যাওয়ায় পরিবেশ আগের মতো নেই। পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলা আগ্রাসী গাছ লাগানোর ফলে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। উজাড় হচ্ছে শালবন। সেসব জায়গায় সরকারের বিভিন্ন প্রজেক্টে গাছ লাগানো হচ্ছে। শালবনের লাল মাটির মধুপুর বনের পরিবেশসম্মত গাছ হচ্ছে শাল, সেগুন, জারুল, আমলকী, হরীতকীসহ দেশী প্রজাতি। আজুগি গাছের দেখা মেলে না। অধিক ছায়াসমৃদ্ধ গাছ হারিয়ে গেছে বন থেকে। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ফাঁপিয়ে উঠে পরিবেশ। সামাজিক বনায়নে বিদেশী প্রজাতির গাছ লাগানোসহ আনারস চাষে ঝোঁকায় পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে।
স্থানীয়রা এসবের কারণ হিসেবে জানিয়েছেন, আনারস, কলাসহ বিভিন্ন ফল ফসলের বাগানে রাসায়নিক ব্যবহারে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। শালবনের অভ্যন্তরে জলাশয়গুলোও বিলীন হয়ে যাচ্ছে অধিক হারে। ভূমিখেকোরা জলাশয় ভরাট করে কৃষিরাজ্যে পরিণত করছে। বনের জলাশয়ে গোসল করাসহ বন্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ করতে দেখা যেত। জলাশয়গুলো ভরাটের ফলে সারা বছর পানি সঙ্কটে বন্যপ্রাণীরা।
গাছাবাড়ি গ্রামের আবদুস সাত্তার জানান, মধুপুর বনের অভ্যন্তরে চৌরাবাইদ, মুনারবাইদ, গুইলমারি, জিকুশি, শইলমারি, দিগলাকোনাসহ জলাশয়গুলোতে সারা বছর পানি থাকত। বাইদ বা জলাশয় ভরাট ও খনন করে চাষাবাদ করা হচ্ছে। পানীয় জলের সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ আদিবাসী কালচারাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সভাপতি অজয় এ মৃ বলেন, মধুপুর বন গহিন অরণ্য ছিল। ঝোপঝাড় থাকায় পশুপাখি দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেত। বনের জলাশয়ের পানিতে চলত পশুপাখিদের জীবন। প্রাকৃতিক বন বাড়াতে হবে। সামাজিক বনায়ন বন্ধ করা দরকার।
বেলার বিভাগীয় সমন্বয়ক গৌতম চন্দ্র চন্দ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে। বৃষ্টি কমে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ বন্যপ্রাণীদের আশ্রয়স্থল ও পানীয়জলের ব্যবস্থা করা দরকার।
জলাশয় পরিবর্তন রোধ ও পরিবেশ সহকারী বন সংরক্ষক (টাঙ্গাইল উত্তর) আশিকুর রহমান বলেন, মধুপুর উঁচু জায়গা। তার পরও জাতীয় উদ্যানের গড়গড়িয়া বনবীথি রেস্ট হাউজের পাশে জলাশয়ে পানি রয়েছে; এখানে বানররা পানি খেয়ে থাকে। জলের সমস্যার চেয়ে খাদ্য সমস্যা বেশি। মধুপুর বনের বন্য পশুপাখিরা অনেকাংশে ভালো আছে। বন উজাড়, অবৈধ দখল বন্ধ করে সামাজিক বনায়নের নামে প্রাকৃতিক ধ্বংস বন্ধের দাবি স্থানীয়দের। প্রাকৃতিক বন রক্ষায় আবাসস্থল ফিরে পাবে বন্যপ্রাণীরা। বনের দখল হওয়া জলাশয়গুলো উদ্ধার ও মুক্ত করে বন্যপ্রাণীদের জন্য অবমুক্ত করার দাবি স্থানীয়দের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা