২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ছে দেশে

স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়িয়ে চলুন

-

তিন দিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এ তাপপ্রবাহ আরো তীব্র হতে পারে। আরো বেশি জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা প্রচুর জলীয়বাষ্প এখনো বাতাসে রয়ে গেছে। এ অবস্থায় মানুষের ঘাম হয় প্রচুর। তাপমাত্রা অপেক্ষাকৃত কম থাকলেও গরম অনুভূত হয় বেশি। ঘামের ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। তা খুব অস্বস্তিকর হতে পারে। বাস্তবে এমনটি ঘটছে কয়েক দিন থেকে। অতিরিক্ত গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। রাজধানী ঢাকায় গরমে অতিষ্ঠ মানুষ মাথায় পানি ঢেলে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করছেন এমন ছবি পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। যদিও তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের বক্তব্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরো বাড়বে। রাজশাহী, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরো ছড়িয়ে পড়তে পারে।
অতিরিক্ত গরমে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় স্বাস্থ্যঝুঁকি। এ সময় ব্যক্তিগত সতর্কতা জরুরি। সরাসরি রোদে যত কম যাওয়া যায় সে চেষ্টা করতে হবে। রোজাদারদের জন্য সতর্কতা বেশি দরকার। রোজা রেখে বাইরে বেশি ঘোরাঘুরি করলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিতে পারে। রোদে গেলে মাথায় চওড়া ক্যাপ, স্কার্ফ অথবা ছাতা দিতে হবে। গত বছর তাপপ্রবাহের সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে অস্বস্তির সময়ে কোনো শীতল পরিবেশে দুই থেকে তিন ঘণ্টা বিশ্রাম নেয়ার পরামর্শ দিয়েছিল। ওই পরামর্শ সব সময় প্রযোজ্য। বিশেষ করে বয়স্ক ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে। পানিশূন্যতায় মানুষের হৃৎপিণ্ড ও নাড়ির গতি বেড়ে যায়। এতে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। কেউ কেউ অজ্ঞান হয়ে যান। এ অবস্থাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। এ অবস্থা যাতে না হয় সে জন্য সতর্কতা দরকার। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ছায়াময় জায়গায় নিয়ে চোখেমুখে পানি দিতে হবে। শরীরের কাপড় ঢিলে করে দিতে হবে। পাশাপাশি স্যালাইন ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করাতে হবে।
যারা বাইরের খোলা খাবার, শরবত, ঠাণ্ডা পানি প্রভৃতি পান করে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করেন তারা আবার নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েন। গরমে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনলেও কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলতে পারে। বিশেষ করে ফলমূল ও পানির অভাব পূরণ করে এমন খাবার খেতে হবে। যেমন- তরমুজ, শসা, ডাব, ফুটি, বাঙ্গি প্রভৃতি। পরতে হবে হালকা রঙের পোশাক। সাদা রঙের পোশাক সবচেয়ে ভালো। তাতে গরম অনেকটা কাটবে। গাঢ় রঙের পোশাকে গরম বেশি অনুভূত হয়। এ সময় সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে। সুতি ও লিনেনের ঢোলাঢালা পোশাক গরমে উপকারী।
প্রচণ্ড গরমে কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গিয়ে মামস, জলবসন্ত, ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে। বয়স্ক, শিশু এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, যেমন- গর্ভবতীদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’ গুমের ঘটনা তদন্তে কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি : কমিশন প্রধান প্রথম সেশনে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তুলেছে বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রিপনের লাশ সাড়ে ৩ মাস পর উত্তোলন নির্বাচনের জন্য জনগণের আস্থা অর্জন করাই ইসির প্রধান কাজ : রিজভী পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয় কক্সবাজার সৈকতে গোসলে নেমে মৃত ১, নিখোঁজ ২ জাপান নতুন বাংলাদেশেরও বন্ধুই রয়েছে : রাষ্ট্রদূত পরীক্ষা দিতে এসে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে হাবিপ্রবি ছাত্রলীগ নেতা প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বড় জয় জিম্বাবুয়ের আদানির বিরুদ্ধে এবার সমন জারি করল যুক্তরাষ্ট্র

সকল