নীতিমালার বাস্তবায়ন নেই
- ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
সড়কে খনন করায় এবং পরে মেরামত কার্যক্রমে সমন্বয় ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে ঢাকায় প্রতি বছর দেখা দেয় জনদুর্ভোগ। তবে চলতি বছর এই দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। এবার রাস্তাঘাটের উন্নয়নকাজ চলছে ধীরগতিতে। খুঁড়ে রাখায় মূল সড়ক থেকে অলিগলি দিয়ে গাড়ি চলতে পারছে না। অথচ সামনে বর্ষা। এটি বিবেচনায় নিয়ে কাজের গতি কয়েকগুণ না বাড়ালে ঢাকাবাসীর ভোগান্তির মাত্রা আরো বাড়বে, তা নিশ্চিত।
কয়েক মাস ধরে রাজধানীজুড়ে সড়কে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। অনেক স্থানে কোন সংস্থা খোঁড়াখুঁড়ি করছে, তার কোনো বিজ্ঞপ্তি নেই। নেয়া হয়নি সতর্কতামূলক ব্যবস্থাও। সড়ক খুঁড়ে ওঠানো মাটি পড়ে আছে রাস্তায়। চার দিকে ধুলার ছড়াছড়ি। আবার কোনো জায়গায় সড়ক মেরামতের জন্য আনা ইট-পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। অব্যবহৃত ও ভাঙা পাইপও পড়ে আছে পথে। যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নির্মাণসামগ্রী। কোনো কোনো সড়ক এক মাসের বেশি সময় ধরে খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এতে পথচারীদের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। কাজ হচ্ছে ফ্রি স্টাইলে; সড়ক খনন নীতিমালা না মেনে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের তথ্যানুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার শতাধিক স্থানে খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি দেয়া হয়েছে। সরকারের অন্তত ১৩টি সংস্থা সড়ক খননের অনুমতি নিয়েছে। এসব কাজের অনেকগুলো চলমান। পাশাপাশি দুই সিটি করপোরেশনও অনেক এলাকায় সড়কে উন্নয়নকাজ করছে।
সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় সড়কে খোঁড়াখুঁড়ির সমন্বয়ে নীতিমালা আছে। তাতে বলা আছে, কোনো সড়কের পুরোটা একসাথে খোঁড়া যাবে না। মাসের পর মাস একটানা কোনো সড়ক খোঁড়া যাবে না। ধুলাবালু রোধে নিয়মিত পানি ছিটাতে হবে। হলুদ বা লাল ফিতা দিয়ে খনন এলাকা ঘিরে রাখতে হবে। চলাচলে বিঘœ ঘটিয়ে মালামাল মজুদ করে রাখা যাবে না।
জনগণের সুবিধার্থে খননকাজ শুরুর অন্তত তিন দিন আগে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এলাকায় মাইকিং ও প্রচারপত্র বিলি করতে হবে। তাতে খননকারী সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নাম, মুঠোফোন নম্বর ও যোগাযোগের ঠিকানা উল্লেখ থাকবে। কাজের উদ্দেশ্য, খনন শুরু ও শেষের তারিখসহ সাইনবোর্ড টানাতে হবে।
সড়ক খননের সাথে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে নীতিমালায় বলা হয়েছে। এটি তৈরি করে সিটি করপোরেশনকে দিতে হবে। আর বছরের খনন পরিকল্পনা এপ্রিলের মধ্যে দিতে হবে। আধুনিক জরিপ পদ্ধতিতে সড়কের নিচে পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও অপটিক্যাল কেবলের মতো পরিষেবার নকশা প্রণয়ন করতে হবে। তবে নীতিমালা প্রণয়নের পাঁচ বছর পেরোলেও এসব ক্ষেত্রে অগ্রগতি নেই।
একটি শহরে আদর্শ খননকাজের মোটামুটি সব কিছু নীতিমালায় আছে। সঙ্গতকারণে জনদুর্ভোগ কমাতে নীতিমালাটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। কিন্তু তেমন লক্ষণ নেই। নীতিমালা রয়ে গেছে কাগজ-কলমে। তাই বলা যায়, ঢাকায় নাগরিক দুর্ভোগ আপাতত কমছে না। এর প্রতিপালন হলে সড়ক খোঁড়াখুঁড়িতে জনগণের ভোগান্তি অনেকাংশে কমত।
সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি দেয়া থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয় তদারকি ও বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব ‘ওয়ানস্টপ সমন্বয় সেল’-এর। কিন্তু বাস্তব অবস্থা দেখে বোঝার উপায় নেই এই সেল আদৌ সক্রিয় কি না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা