রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেই
- ২৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
আমাদের দেশের মানুষ যেমন হুজুগে ও বেখবর তেমনি সরকার জনগণের স্বার্থ রক্ষায় উদাসীন। ফলে একই কায়দায় জালিয়াতচক্র শুধু এ দেশের মানুষের পকেট কাটতে পারে। অর্থাৎ কোনো একটি ফাঁদ পেতে যখন একদল লোক প্রতারিত হয়, ওই একই ফাঁদে আবারো মানুষ পড়ে। অনলাইনে মানুষের অংশগ্রহণ যত বাড়ছে এমন ঘটনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে পাল্লা দিয়ে। সহযোগী একটি দৈনিকে দুবাইয়ে বসে অনলাইনে বাংলাদেশীদের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার খবর দেয়া হয়েছে। এত সহজে একদল মানুষ প্রতারিত হতে পারে তা অবিশ্বাস্য। যার কারণে এ দেশে প্রতিনিয়ত অসংখ্য প্রতারণার ঘটনার জন্ম হচ্ছে।
প্রলোভন দেখিয়ে তিন মাসে বাংলাদেশীদের কাছ থেকে ২৭০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশের দেয়া তথ্য, ১২টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এ টাকা দুবাইয়ে গেছে। এ প্রতারক চক্রের হোতা একদল চীনা। তারা কয়েক ধাপে বাংলাদেশীদের নিজেদের সহযোগী নিযুক্ত করে জালিয়াতি করছে। একটি ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করলে ১০০ টাকা, দু’টি করলে ২০০ টাকা দেয়া হবে। এমন সস্তা প্রস্তাব দেয়া হয় প্রথমে। দেখা যায় সত্যি সত্যি বিকাশ বা অন্য কোনো মাধ্যমে সেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এভাবে লোভ জাগিয়ে তোলা হয়। এরপর আসে বিনিয়োগের প্রস্তাব। প্রথমে সামান্য কিছু অর্থ লভ্যাংশসহ ফেরত দেয়া হয়। এরপর বড় বিনিয়োগের প্রস্তাব আসতে থাকে। ওই অর্থ আর ফেরত পাওয়া যায় না; বরং বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাওয়াকে প্রতারক চক্র ফাঁদ হিসেবে ব্যবহার করছে। এ জন্য তারা আরো বেশি বিনিয়োগ করতে বলে। শর্ত আরোপ করে।
বিকাশে ১০০ বা ২০০ টাকা পাওয়া ব্যক্তিরা এতটা নির্বোধ যে; তারা এক একজন এ সূত্রে লাখ লাখ টাকা খুইয়ে বসেন। বিনিয়োগের কয়েক হাজার টাকা উদ্ধার করতে ২৬ লাখ টাকা পর্যন্ত খুইয়েছেন এমন ব্যক্তিও আছেন। মানুষের এমন নির্বুদ্ধিতার বহু নজির এদেশে রয়েছে। এ কারণে বহু ধাপ বিপণন, সমবায় এমনকি শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি হতে পেরেছে। এক শ্রেণীর মানুষ যৌক্তিক চিন্তা করতে পারে না। তারা ভাবতে পারে না ভুতুড়ে অর্থ কোথা থেকে আসবে। এ জন্য তাদের বড় মাশুলও দিতে হয়। বিদেশী বহু চক্র একই ফাঁদ পেতে বাংলাদেশ থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমন প্রতারণার ঘটনা দেশীয় লোকেরাও কম ঘটায়নি। কিন্তু এ শ্রেণীর মানুষের কোনো ধরনের বোধোদয় নেই। এ জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনাও বড় আকারে দায়ী। দেশে আইন-কানুনের অভাব না থাকলেও বাস্তবায়নে দুর্বলতা রয়েছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশের মানুষের স্বার্থে তৎপর, সেটিও নেই। প্রতারণার এমন ঘটনা খুব কম রয়েছে যে, আমাদের গোয়েন্দা বাহিনী আগে প্রতিরোধ করেছে; বরং মানুষ প্রতারিত হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার পর তৎপরতা শুরু হয়। এতে ক্ষতিপূরণ মেলে না। আবার এগুলো উদাহরণ বা শিক্ষা হিসেবেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সামনে রাখে না। ফলে একটি প্রতারণার পর আবারো একই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুললে হবে না। এটিকে নিরাপদ ও টেকসই করতে হবে। তা না হলে এর সুযোগ নেবে দেশ-বিদেশের জালিয়াতরা। দুবাইকেন্দ্রিক ওই চক্রকে আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রতিটি প্রতারক চক্র চিহ্নিত করতে হবে। এর সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা