রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির জয়পুরহাট
- দুর্ভোগের অবসান ঘটান
- ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
একটি সহযোগী দৈনিকের জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, চারলেন সড়কের ড্রেন নির্মাণের খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জয়পুরহাট শহরবাসী। যেখানে সেখানে খোঁড়াখুঁড়ি করে রাবিশ ও মাটি সড়কে ফেলে রাখায় সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। কোথাও বেজমেন্ট ঢালাই দিয়ে রডগুলো বের করে রাখা হয়েছে।
ছয় মাস ধরে সড়কের ড্রেনের দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি; কখনো ধুলাবালির কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ। হারাইল থেকে রেলগেট পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার চারলেনে প্রশস্তকরণ উদ্বোধন করা হয় ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ এমপি এর উদ্বোধন করেন। ভূমি অধিগ্রহণ, বিদ্যুৎ, টেলিফোন ও পৌরসভার পানির লাইন সম্প্রসারণসহ উন্নয়নে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকারও বেশি। ভূমি অধিগ্রহণসহ অন্যান্য অর্থ শোধও করা হয়েছে। জয়পুরহাটের সাথে যোগাযোগের একমাত্র ১৮ ফিট সড়কটি ৬০ ফিটে সম্প্রসারণ করে চার ফিটের আইল্যান্ড, উভয় পাশে ২৪ ফিট সড়ক এবং দুই পাশে তিন-চার ফিট প্রস্থের দু’টি ড্রেন নির্মাণ করার কথা। পাঁচ বছর সড়ক উন্নয়নের কাজ বন্ধ।
গত জুলাই মাসে ড্রেন নির্মাণ শুরু করেন আমিনুল হক নামে নওগাঁর ঠিকাদার। ড্রেন নির্মাণে বরাদ্দ প্রায় ৩০ কোটি টাকা। যত্রতত্র খোঁড়াখুঁড়ি করে ড্রেন নির্মাণ করায় ছয় মাস ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে জয়পুরহাটবাসীকে। বাসটার্মিনাল থেকে ড্রেন নির্মাণ শুরু হলেও খুঁড়ে রাখা হয়েছে মাসের পর মাস। এক পাশের কিছু অংশে কাজ শেষ করলেও ড্রেনের মাটি ও রাবিশ ফেলে রাখায় চলাচলে বিঘœ ঘটছে। কোথাও ড্রেনের জন্য খুঁড়ে বেজমেন্ট ঢালাই দিয়ে রড উন্মুক্ত ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে মারাত্মক। ড্রেন নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকে চলাচল করতে হিমশিম খাচ্ছে শহরবাসী। সারা দিন ধুলায় আচ্ছন্ন পুরো শহর। আমতলী এলাকার লোকজন জানায়, জুলাই মাস থেকে ড্রেন নির্মাণের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি শুরু। সেই থেকে ধুলা আর যানজটে চলাচল করা যাচ্ছে না। ব্যবসায়ীরা বলেন, ব্যবসায়ও হচ্ছে না। পাঁচুর মোড়ে ফুটপাথের ব্যবসায়ীরা বলেন, ড্রেনের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে ছয় মাস ধরে ব্যবসায় করতে পারছেন না। অন্যান্য ব্যবসায়ী জানান, অন্তত ১০টি পয়েন্টে ড্রেনের জন্য গর্ত খুঁড়ে মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয়েছে। এভাবে কাজ করলে রমজান মাসে আমরা ব্যবসায় করতে পারব না। শ্রমিকরা বলেন, ছয় মাস কাজ করে ড্রেনের অর্ধেক কাজও শেষ করা যায়নি। নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন শহরবাসী। তারা ড্রেনের কাজ শেষ করার দাবি জানান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিনুল হকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু ওয়াহেদ জানান, চারলেন ড্রেনের জটিলতায় অনেক পিছিয়ে গেছি। অধিগ্রহণ করা জায়গা মালিকরা ছাড়তে চাচ্ছেন না। সড়ক ও জনপথ বিভাগ, প্রশাসন ও পৌরসভায় বারবার যোগাযোগ করলেও সুরাহা নাকি করতে পারছেন না। জায়গা বুঝে না পাওয়ায় ড্রেন নির্মাণে বিলম্ব হচ্ছে। পাঁচ থেকে সাত শ’ ফিট ড্রেন উন্মুক্ত। জায়গা না ছাড়ার কারণে শ্রমিকরা কাজ করতে পারছেন না। ড্রেন নিয়ে আমরা বিপাকে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, উন্নয়নে ভোগান্তি থাকবেই। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে কাজ করতে হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে ড্রেন নির্মাণ শেষ করার চেষ্টা করছি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা