কতটা কার্যকর হয় সেটিই দেখার
- ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
নির্বাচন-উত্তর বাজারে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা চড়েছে। দেশে নিত্যপণ্যসহ সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম গত ১৫ বছর ধরে চড়া থেকেছে। মাঝেমধ্যে পেঁয়াজ, ডিম, চিনি বা তেলের মতো কোনো কোনো পণ্যের দাম রেকর্ড ছুঁয়েছে। কিন্তু বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর কোনো ভূমিকা দেখা যায়নি।
টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতা নিশ্চিত হওয়ার পর এখন দ্রব্যমূল্য নিয়ে নতুন সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার পাওয়া গেল। যে মুহূর্তে পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে সব জিনিসের দাম আরো ঊর্ধ্বমুখী, ঠিক সে সময় পাঁচ মন্ত্রীর যৌথসভা থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের জোরালো রাজনৈতিক অঙ্গীকার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
গত ২১ জানুয়ারি সচিবালয়ে পাঁচ মন্ত্রণালয়ের জরুরি সভা শেষে নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী দ্রব্যমূল্য বাড়ানোর জন্য দায়ী ব্যবসায়ী চক্রের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দেন। বলেন, ‘কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দরকার হলে আইন করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।’ অর্থমন্ত্রী ছাড়া সভায় খাদ্যমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সভার উদ্দেশ্য ছিল দেশের খোলাবাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বাড়ানোর কৌশল নির্ধারণ, মজুদদার ও দুষ্টচক্রের কারসাজি রোধ এবং প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির মাধ্যমে দ্রুত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের উপায় বের করা।
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। সে জন্য সবাইকে নিয়ে বৈঠক হয়েছে। একটা কিছু করার জন্যই আমরা আলোচনা করেছি। অপেক্ষা করুন এবং দেখুন কী হয়, ওয়েট অ্যান্ড সি।’
বৈঠকে বলা হয়েছে, বাজারে পণ্যের সরবরাহ যথেষ্ট। কিন্তু কিছু মহল কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে। সরকার তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবে না।
১৫ বছর ধরে সিন্ডিকেট ধরতে পারেননি কেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হাতে কোনো তথ্যপ্রমাণ ছিল না। এখন আমরা শনাক্ত করার কাজ শুরু করেছি। নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর তাদের ধরা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে। দায়ীদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে।’
মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে একটি কূটিল প্রশ্ন মনে আসতে পারে। ১৫ বছরে কেন দুষ্টচক্রের সদস্যদের শনাক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হলো না? এতদিন কি তাদের জেনেশুনে জনগণের গলা কাটার সুযোগ দেয়া হলো?
যাই হোক, বাজার পরিস্থিতি মানুষের প্রতিদিনের অভিজ্ঞতায় থাকে। আর সিন্ডিকেট শনাক্তকরণের খবর জানার জন্য তাদের আগ্রহেরও শেষ নেই। মধ্যস্বত্বভোগী, মজুদদার, মুনাফাখোর যারা সিন্ডিকেট করে জিনিসের দাম বাড়ায় তাদের কতটা শনাক্ত করা হচ্ছে এবং কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে তা দেখলেই নতুন সরকারের আন্তরিকতা স্পষ্ট হবে। এই রাজনৈতিক অঙ্গীকার যে সত্যিই আন্তরিক সেটি প্রমাণ করতে পারলে জনগণের আশ^স্ত হওয়ার জায়গা তৈরি হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘আর চিন্তার কারণ নেই’। কিন্তু শুধু কথায় চিড়া ভিজে না। ক্ষুধার্ত ও দুস্থ মানুষকে চিন্তামুক্ত করতে হলে সরকারকে দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে হবে। এর বিকল্প নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা