জলাবদ্ধতায় চাষাবাদ ব্যাহত
- ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
বাংলাদেশ জনসংখ্যার ভারে নুয়ে পড়া একটি দেশ। যদিও সরকারি বয়ান হলো- আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অথচ এখনো এ দেশের অনেক মানুষ পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত। তাদের খাদ্য-অখাদ্য খেয়ে জীবন ধারণ করতে হয়। প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে তারা সহজে নানা রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। এতে করে দেশের জনস্বাস্থ্যও কাক্সিক্ষত মানে নেই।
আবাসন-শিল্পায়নসহ নানা কারণে প্রয়োজনের তুলনায় এ দেশে আবাদি জমির স্বল্পতা দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। এই আবাদি স্বল্প জমিতে শস্য উৎপাদন করে এখন ১৭ কোটি মানুষের ক্ষুধা নিবারণ করতে হচ্ছে। একই সাথে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করে চাহিদার জোগান দিতে হয়। এই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে এ দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি অতি মূল্যবান। সে কারণে গত কয়েক দশক ধরে সব ধরনের জমির সদ্ব্যবহারের ওপর জোর দিয়ে আসছে সরকার। বলা হচ্ছে, ভূমির সদ্ব্যবহারের ওপর সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্ব সর্বাগ্রে। কিন্তু সুশাসনের অভাবে দেশের বাস্তবতা ভিন্ন। প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সুবিধা দিয়ে সারা দেশে যথেচ্ছভাবে প্রভাবশালী ও সুযোগসন্ধানীরা নানাভাবে জমি ব্যবহার করছেন। তেমন একটি ঘটনা ঘটেছে কিশোরগঞ্জে।
গতকাল নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, কিশোরগঞ্জের নিকলী ও কটিয়াদী দুই উপজেলার দুই মৌজার মাঝামাঝি আঠারবাড়িয়া, জাল্লাবাদ ও ভুনা এলাকায় দেড় যুগ ধরে বেশ কিছু জায়গায় খাল দখলের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত প্রভাবশালী মৎস্যখামারিরা। বেশ কয়েকটি স্থানে খালের অস্তিত্ব মুছে ফেলেছেন তারা। এসব করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের কিছু ব্যক্তিকে আর্থিক সুবিধা দিয়ে। সাম্প্রতিককালে আরো একটি মৎস্যখামার গড়ে তোলার কাজ চলমান রয়েছে আঠারবাড়িয়া মৌজায়। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, এটি গড়ে তোলা হলে নতুন করে জলাবদ্ধতায় পড়বে তিনফসলি কয়েক হাজার একর জমি। কর্তৃপক্ষকে স্থানীয়রা জানালেও এর কোনো প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগীরা।
কটিয়াদীর ভুনা গ্রামের এক কৃষকের বরাতে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ বিলের ফসলি জমি এখন সারা বছর পানিতে তলিয়ে থাকে। ভুক্তভোগী ওই কৃষকসহ আরো অনেককে কম দামে জমি বিক্রি করা ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছেন না তারা।
নয়া দিগন্তের সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদক নবনির্মিত মৎস্যখামারের মালিকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সরকারি খালের ওপর মৎস্যখামার তৈরি হচ্ছে কিনা এবং প্রশাসনের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা? উত্তরে তিনি বলেছেন, সরকারি খাল কিনা সেটি জানেন না তিনি। এটি তৈরি করতে সবাইকে কমবেশি আর্থিক সুবিধা দেয়া হয়েছে বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার বলেন, বিষয়টি তার জানা ছিল না। দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মতো আমরাও মনে করি, সুবিধাভোগী মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির জন্য সর্বস্তরের ক্ষতি করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের উচিত বিষয়টি আমলে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া। কোনো আমলাতান্ত্রিক জটিলতা যাতে না হয়, সেটিও নিশ্চিত করতে হবে স্থানীয় প্রশাসনকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা