পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণ নেই
- ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০৫
রাজনৈতিক অস্থিরতা দেশকে গ্রাস করেছে। সরকারের একতরফা আচরণে পরিস্থিরির গুরুতর অবনতি হয়েছে। বিরোধীরা সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এমন বাস্তবতায় সরকার একটি জবরদস্তির নির্বাচন চাপিয়ে দিয়েছে দেশবাসীর ওপর। এর প্রতিবাদে বিরোধীরা দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। এই আন্দোলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এতে জ্বালাও পোড়াও নেই। এর পরও পুরো দেশ স্থবির হয়ে পড়েছে। প্রায় সব ধরনের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতি হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর একটি দেশের পর্যটন। অথচ শীত মৌসুমে আমাদের পর্যটন কেন্দ্রগুলো জমে ওঠে। এবার সব জায়গা শূন্য। পর্যটকদের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রায় বন্ধের অবস্থা।
সহযোগী একটি দৈনিক দেশের প্রধান পর্যটক আকর্ষণকারী স্থানগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেছে। তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না, মানুষের মনে শান্তি নেই। দমবন্ধ পরিবেশে ঘুরতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন দেশের মানুষ। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বন্ধ কিংবা ঢিলেঢালাভাবে চলছে। তবু ভরা মৌসুমেও পর্যটনকেন্দ্রগুলো ফাঁকা। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে আধিকার আদায়ের দাবিতে বিরোধীরা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করছেন। তবে এতে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া, রেললাইন উপড়ে ফেলা এ ধরনের নাশকতা নেই। রেল সড়ক ও নৌপথে যান চলাচল স্বাভাবিক। তার পরও পর্যটকের দেখা নেই।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত বছরের শেষ ও নববর্ষের শুরুতে জমজমাট থাকে। দীর্ঘতম এ সমুদ্রসৈকত অনেকটা জনশূন্য। এখানকার হোটেল মোটেল ফাঁকা। যেখানে এগুলোতে শতভাগ বুকিং থাকার কথা। ২৮ অক্টোবরের ক্রাকডাউন ঘিরে বিরোধীদের রাজনৈতিক কর্মসূচি আহ্বানের পর থেকে পর্যটন ব্যবসায় টানা মন্দাভাব বিরাজমান। কক্সবাজারে চার শতাধিক হোটেল মোটেল, গেস্টহাউজ, কটেজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে তারকা মানের কয়েকটি হোটেলে অল্প কিছু পর্যটক থাকলেও বাকিগুলো ফাঁকা। কয়েক দিন ধরে সেন্টমার্টিনগামী জাহাজ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের কথা বলা হলেও এগুলো মূলত যাত্রী পাচ্ছিল না। দেশের আরেকটি প্রধান সমুদ্রসৈকত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় একই অবস্থা। এসব এলাকার স্থানীয় অর্থনীতি পর্যটনকেন্দ্রিক। এসব ব্যবসায় পর্যটনের অভাবে চরম মন্দাভাব। আরো দুটি অন্যতম প্রধান পর্যটন এলাকা রাঙ্গামাটি ও সিলেটের শ্রীমঙ্গল। এসব এলাকায় গড়ে উঠেছে হোটেল ও পরিবহন ব্যবসা। মূলত বাইরে থেকে আসা লোকদের সেবা দিয়ে তারা আয় করেন। এখানকার পর্যটন কেন্দ্রগুলোও দিনের বেলায় খাঁ খাঁ করছে।
বিগত কয়েক দশকে দেশের এসব পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এবার এই খাতে বিনিয়োগকারীরা নিঃসন্দেহে লোকসান গুনবেন। সামনের দিনগুলো যে ভালো হবে সেই নিশ্চয়তা নেই। একটি একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার অনিশ্চিত পথ বেছে নিয়েছে। বিরোধীরা নতুন করে আন্দোলন-সংগ্রামের কর্মসূচি দিচ্ছে। এতে দেশ দীর্ঘমেয়াদে অস্থিতিশীল হওয়ার প্রবল আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পর্যটন খাত টেকসই করতে প্রধানত শান্তি-স্থিতিশীলতা আবশ্যক। মানুষের মনে শান্তি থাকলে সে বেড়াতে যায়। আর থাকতে হয় আর্থিক সচ্ছলতা। সামনের দিনগুলোতে মানুষের এই দুটো জিনিসের তীব্র অভাব দেখা দেবে বলে মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তাই দেশের পর্যটন খাতে কোনো সুখবর আপাতত নেই। তবে সরকার যদি জনদাবি মেনে নিয়ে সমাধানের পথে হাঁটে তখন পরিস্থিতি বদলাতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা