একটু নজর দেবেন কি?
- ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০৫
একটি সহযোগী দৈনিকের শিবালয় (মানিকগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, শিবালয় হাট-বাজারে কয়েক কোটি টাকা আয় হলেও সংস্কারে গড়িমসি করায় বেহালদশায়। মাছ বাজারের পরিবেশ একেবারেই নোংরা। ড্রেনেজ না থাকায় পচা পানিতে দুর্গন্ধ। বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গু মশার উপদ্রব। দীর্ঘদিন এই অবস্থা সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্টরা না দেখার ভান করছেন। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা। ২-১ দিন বৃষ্টি হলেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় জলাবদ্ধতা হয়। কর্তাব্যক্তিরা দুর্ভোগের শিকার হলেও সমস্যা দূরীকরণের উদ্যোগ নিচ্ছেন না। ২০০৪ সালে শিবালয় বাজারের পাশাপাশি সপ্তাহে দু’দিন হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। নিয়মিত এখানে ধান ও গরু ছাগলের হাট বসতে থাকে। ভোরে শুরু তরিতরকারি, দুধ, ডিম ও মাছের বাজারের বেচাকেনা। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাছ বাজার এবং গরু ছাগলের হাট। এই হাট-বাজারে দূর-দূরান্ত থেকে শত শত ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম এবং লাখ লাখ টাকার কেনাবেচা হয়। সরকার প্রতি বছর ইজারা দিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন। এ বছরও দুই কোটি ৯৩ লাখ টাকা ইজারা মূল্যের সঙ্গে ২৫% ভ্যাট যোগ করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হবে বলে জানা গেছে।
উপজেলার সবচেয়ে বেশি আয় হয় শিবালয় হাট-বাজার থেকে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধা অপ্রতুল। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কয়েকটি স্থানে ড্রেন থাকলেও দীর্ঘদিন আবর্জনা পড়ে অকেজো হয়ে পড়েছে। শুষ্ক মৌসুমে ব্যবসা করা সম্ভব হলেও বর্ষা মৌসুমে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চরম বিপাক। দীর্ঘদিন জমে থাকা ময়লা ও পচা পানির দুর্গন্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হচ্ছে। জন্ম নিচ্ছে অসংখ্য মশা-মাছি, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এর মধ্যে বসেই ব্যবসা করতে বাধ্য সাধারণ ব্যবসায়ীরা। ডেঙ্গুর আতঙ্কেও ভুগছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আব্দুল হাই বলেন, মাছের বাজারের অবস্থা খুবই খারাপ। খোলা আকাশের নিচে বসে রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে-পুড়ে ব্যবসা করতে হচ্ছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় নিরুপায় হয়েই ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানির পাশে ব্যবসা করছি।
মাছব্যবসায়ী নকুল হালদার বলেন, শিবালয় আড়ত থেকে মাছ কিনে বিক্রি করি। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে এবং কাদা হওয়ায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের খুবই কষ্ট হয়।
শিবালয় বাজার মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শিবালয় বাজারের মৎস্য আড়তের সমস্যা রয়েছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে, ড্রেন নেই। ছোট যে ড্রেনটি রয়েছে, তা দিয়ে আবর্জনা বের হয় না। মাছ বেচা-কেনা করার কষ্ট হয়। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। সমাধান হচ্ছে না। অতি দ্রুত আরেকটি মৎস্য শেড (ঘর) ও ড্রেন নির্মাণ করে পয়ঃনিষ্কাশন সমস্যায় দুর্ভোগ লাঘবে দাবি জানিয়েছেন। শিবালয় বন্দর সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, প্রায় দুইশত বছরের প্রাচীন এ বাজারটি দুই বর্গকিলোমিটার। মাত্র এক কিলোমিটার ড্রেনেজ রয়েছে। তাও নদীর পাড়ে বালু ফেলে ভরাট করার কারণে ড্রেনেজ লাইনে পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বাজারের এমন বেহালদশা। কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশা করেছেন। শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আবেদন পেয়েছি। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত। ‘অতি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।’
শিবালয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা রেজাউর রহমান খান বলেন, বাজারের কাঠপট্টিতে ড্রেন নির্মাণসহ সমস্যা সমাধানকল্পে আগস্ট মাসের মিটিংয়েই প্রস্তাব পাস হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা