এ স্রোতস্বিনী কি হারিয়ে যাবে?
- ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫
নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার জারিরদোনা খালটি এক শ্রেণীর অবৈধ দখলদারের কবলে পড়ে এখন অস্তিত্ব হারানোর পথে। দখলে-দূষণে বিলুপ্তপ্রায় এক সময়ের ঐতিহ্যবাহী খালটি।
উপজেলা সদরের হাজিরহাট বাজার ঘেঁষে বয়ে যাওয়া এ খালের দু’দিকেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য স্থাপনা। অবৈধ এসব দখলদারের তালিকা হলেও উচ্ছেদ করা হচ্ছে না তাদের। অনেকেই খালের ওপর স্থায়ী ইমারত নির্মাণ করে ঘর ভাড়া দিয়েছেন।
আরো বলা হয়, প্রভাবশালীদের কেউ কেউ খালটির দু’পাশ ভরাট করে শীর্ণকায় কালভার্ট তৈরি করে খালের ওপর বহুতল ভবন নির্মাণ করে বসবাসও করছেন। এ ছাড়া দখল করা জমি বাড়াতে কেউ কেউ খালের কয়েকটি অংশে ফেলেছেন ময়লা-আবর্জনা ও ইট-বালু। কেউ কেউ খালের ওপর স্থাপনা তুলে করছেন ব্যবসায়। এতে ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে খালটির প্রবাহ, যে কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের পরিবর্তে আশপাশের কৃষিজমিতে সৃষ্টি হচ্ছে মারাত্মক জলাবদ্ধতা। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা ও দূষণ রোধে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খালটি সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কমলনগরের হাজিরহাট ও চরফলকন ইউনিয়নের সীমানায়, হাজিরহাট বাজার এলাকায় প্রবাহিত জারিরদোনা খালটি একসময়ে ছিল কমলনগরের ঐতিহ্য। এ খালটি উৎসমুখে ৬০ থেকে ৮০ মিটার প্রশস্ত ছিল। বর্তমানে হাজিরহাট বাজার ঘেঁষে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকার কোথাও ১০ থেকে ১৫ মিটার প্রশস্ত, আবার কোথাও কোথাও একেবারেই শীর্ণকায়, যেখানে খালের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
স্থানীয়রা জানান, এ খালটি এক সময়ে ছোট নদীর মতো খরস্রোতা থাকলেও এখন অবৈধ দখলে ও সংস্কারের অভাবে মৃতপ্রায়। জারিরদোনাসহ স্থানীয় বিভিন্ন খাল ও নদী দখলে এক শ্রেণীর অসৎ লোকের মধ্যে অন্যায় প্রতিযোগিতা চলছে। খালের জমিতে প্রতিদিনই গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। অভিযোগ রয়েছে, কিছু কিছু দখল প্রশাসনের নাকের ডগায় হলেও তারা তা দেখেও না দেখার ভান করে। এ ছাড়া খালে ফেলা ময়লা-আবর্জনা স্তূপের কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না; যে কারণে বর্ষা মৌসুমে আশপাশের কৃষিজমিতে পানি জমে কয়েক শ’ একর জমির ফসল নষ্ট হয়। তাই খালটি প্রভাবশালীদের থাবা থেকে উদ্ধার করার দাবি জানান তারা।
হাজিরহাট বাজারের ব্যবসায়ী ফিরোজ আলম জানান, দেড় যুগে এক দিনের জন্যও খালটি অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান চালায়নি প্রশাসন। মাঝে মধ্যে মাপজোখ করতে দেখা গেছে কেবল।
হাজিরহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বিপ্লব জানান, হাজিরহাট ও চরজাঙ্গালিয়া এলাকার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম খালটি। দখলমুক্ত করতে একাধিকবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বলার পর সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর সংস্কারে পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। পরবর্তী সময়ে জরিপ করে দখলদারদের তালিকাও করা হয়। কিন্তু খালটি আজো দখলমুক্ত হয়নি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু সাঈদ তারেক বলেন, ‘এ উপজেলায় নতুন এসেছি। খোঁজখবর নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করব।’ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, খালটি দখলমুক্ত করতে আমরা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আশা করি, শিগগিরই আমরা এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারব।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা