সবাই তাকিয়ে দেখছেন
- ১৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০৫
নয়া দিগন্তের কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মোবারকগঞ্জ চিনিকলকে (মোচিক) ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে বলে মনে করছেন অনেকেই। কারণ হিসেবে তারা বলেন, সুগার মিলের টারবাইনের নিচে সংরক্ষিত এলাকার মবিল ড্রামের চাবি নিচে নামিয়ে ৮০০ লিটার মবিল ‘ড্রেনআউট’ হওয়ার পর টারবাইন-১ অকেজো হয়ে পড়ে। এ ষড়যন্ত্র ফাঁস হওয়ার পরে ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও শনাক্ত করা গেল না অপরাধীকে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অপরিচিত এক ব্যক্তি টারবাইনের নিচে সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করছে। তারপর কিছু করে ওই লোকটি তড়িঘড়ি বের হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই টারবাইনে ত্রুটি দেখা দেয় এবং কর্তৃপক্ষ মিলটি বন্ধ করে দেয়। ওই সময় মিলটি বন্ধ করা না হলে হয়তো বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি হতো। একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করার পরও কেন ওই অজ্ঞাত ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি, সেটাই সবার প্রশ্ন।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মোবারকগঞ্জ সুগার মিলে গত ২৩ ডিসেম্বর চলতি মৌসুমের আখ মাড়াই শুরু হয়। দু’দিন পার হতে না হতেই ২৫ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে মিলের পাওয়ার টারবাইনে ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় এখানে আখ মাড়াইসহ সব কার্যক্রম। এর ৪৩ ঘণ্টা পর উল্লিখিত ত্রুটি কাটিয়ে ২৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে আখ মাড়াই শুরু হয়। এটি স্বাভাবিক ত্রুটি ছিল না। ত্রুটি হওয়ার পর থেকেই একাধিক তদন্ত কমিটি প্রকৃত কারণ উদঘাটনে কাজ শুরু করলেও উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে ৫ জানুয়ারি গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে মোচিকের প্রশাসন বিভাগের দায়িত্বে থাকা উপব্যবস্থাপকসহ (প্রশাসন) তিনজন শ্রমিককে সাময়িক বরখাস্ত পত্র দেয়া হয়। কিন্তু মিলের কারখানার ভেতরে টারবাইনের নিচে সংরক্ষিত এলাকায় ২টা ৪৫ মিনিটে অপরিচিত এক ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেখা যায় সিসিটিভি ফুটেজে। তার নাম-পরিচয় চিহ্নিত হয়নি।
বহিরাগত এই ব্যক্তিকে সেখানে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই তড়িঘড়ি বের হয়ে যেতে দেখা যায়। এরপর ৪টা ৯ মিনিটে প্রচণ্ড ধোঁয়া বের হয়ে টারবাইন-১ অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে টারবাইনের ৮০০ লিটার মবিল ড্রেনআউট হয়ে যায়। দেখা যায়, মবিল ড্রামের চাবি নিচে নামানো। মবিল না থাকায় ভেঙে যায় যন্ত্রাংশ এবং সাথে সাথেই বিকল হয়ে পড়ে টারবাইনটি। আর বন্ধ হয়ে যায় সুগার মিলটি। প্রশাসন ও শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি তাৎক্ষণিক ও যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের কারণেই ৪৩ ঘণ্টা পর হলেও মিলটি চালু করা হয়।
বহিরাগত ব্যক্তির প্রবেশের পরপরই এরকম ঘটনা ঘটাকে শ্রমিক-কর্মচারীরা ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন। অনেকেই মনে করছেন, মিলটি চিরতরে বন্ধ করে দেয়ার উদ্দেশ্যেই ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
মোবারকগঞ্জ চিনিকল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি গোলাম রসুল বলেন, একাধিক তদন্ত কমিটি গঠন করলেও এর কারণ উদঘাটন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে তিন শ্রমিককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা