শত একর জমিতে আবাদ কিভাবে হবে?
- ২০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
সহযোগী একটি দৈনিকের কাপাসিয়া (গাজীপুর) সংবাদদাতা ওই পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, কাপাসিয়াতে ব্রহ্মপুত্র নদের ড্রেজিংয়ের মাটি ও বালু কৃষিজমিতে স্তূপ করে ফেলে রাখায় কয়েক শ’ একর কৃষিজমি দীর্ঘদিন অনাবাদি রয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা প্রশাসনের কাছে মাটি সরিয়ে সেই জমিতে আবাদের সুব্যবস্থা করতে আবেদন-নিবেদন করেও কোনো ফল পাননি বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তদুপরি, এ মাটি ও বালু না সরাতে প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ তাদের হতাশ করেছে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরেজমিন এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, বছর তিনেক আগে নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে নদী খনন প্রকল্পের অধীনে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ব্রহ্মপুত্রের খননকাজ চলছিল। ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে কাপাসিয়া উপজেলার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া থেকে সনমানিয়া ইউনিয়নের ধানদিয়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ নৌপথে ব্রহ্মপুত্র নাব্যতা ফিরে পায়। তবে জনগণের জন্য এক প্রকার গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ড্রেজিংয়ের বালু ও মাটি। কারণ, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ব্রহ্মপুত্রের খননকৃত বালু ও মাটি নদীর পাড়েই জমিতে রেখে দিয়েছেন। এটি পরে সরানো তো হয়ইনি, এমনকি তা এলাকাতেও ছড়িয়ে দেয়া হয়নি অঙ্গীকারমাফিক। এদিকে মাঝে মাঝে এ মাটি ও বালু কিছু চুরি করে বিক্রি করা হলেও শত শত বিঘা জমির মাটি-বালু আজও সরানো কিংবা সমান করা হয়নি।
সনমানিয়া ইউনিয়নের একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জানান, ‘নিজের জমিতে চাষের আবেদন করেও প্রশাসনের অনুমতি পাইনি; বরং প্রশাসন এ মাটি ও বালু না সরাতে বলেছে।’ একই এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, ‘ব্রহ্মপুত্রের ড্রেজিংকৃত মাটি ও বালু জমিতে উঁচু-নিচু করে রাখা হয়েছে। আগে এসব জমিতে বোরো ধান ও রবিশস্যের আবাদ করা যেত। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র নদের বালু ও মাটি রাখায় এবং এটি সরাতে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এখন সেখানে কোনো প্রকার ফসল ফলানো যায় না। অথচ জমির মাটি সমান থাকলে ওগুলোতে বছরে তিন ফসল আবাদ করা যেত। বিশ্বমন্দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের জন্য নির্দেশ দিলেও এখানে শত শত একর জমি অনাবাদি পড়ে থাকে।
এ জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে যেন অবিলম্বে বালু ও মাটি সরানো হয় এবং জমিগুলো নিয়মিত আবাদ করা যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা