কর্তৃপক্ষের নজর দেয়া উচিত
- ০৬ নভেম্বর ২০২২, ০০:০৫
নয়া দিগন্তের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এর ময়মনসিংহ অফিস জানায়, ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরবাসী বর্তমানে যানজটে নাকাল। জেলার ক্ষমতাসীন দলের এক নেতা গত ২২ অক্টোবর তার ফেসবুকে লিখেছেন, (শহরের) চরপাড়া মোড় থেকে নিরাময় ক্লিনিক, দূরত্ব (মাত্র) ৩০০ গজ, সময় লেগেছে ১ ঘণ্টা, অটো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা উচিত।’ দলের আরেক নেতা এর সমর্থনে লিখলেন, ‘অর্ধেকে নামিয়ে আনলেই কিছুটা শান্তি পাওয়া যাবে।’ একজন অধ্যাপক লিখলেন, ‘কলেজে যাওয়ার পথে দিনে অন্তত ২ ঘণ্টা সময় নষ্ট হয় (যানজট)।’
নগরবাসীর এই হলো দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। কারণ যানজট ময়মনসিংহে নিত্যকার সঙ্গী। এতে ভীষণ বিব্রত এই নগরের মানুষ। তবে আশার বাণী শুনিয়েছেন স্থানীয় এসপি। তিনি জানান, এ সঙ্কট নিরসনে পরিবহন নেতাসমেত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। এখানে যানজট সহনীয় রাখতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বা বেবিট্যাক্সি নিয়ন্ত্রণ, পণ্যবাহী ট্রাক শহরে প্রবেশে সময়সীমা, পাটগুদাম ব্রিজের মোড়ের সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ড স্থানান্তর, ফুটপাথ সর্বপ্রকার বেদখলমুক্ত করা, বালুবাহী ট্রাকে ত্রিপল দেয়া, যথাযথ নিরাপত্তাসহকারে রড-বাঁশ বহন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা, জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ, নৈশপরিবহন যাত্রা করার আগেই ভিডিও করা, অবৈধ হকার, সবজি ও ফল ব্যবসায়ীসহ অন্যদের পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ, বিশেষত সিএনজির রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা বন্ধ করা, অ্যাম্বুলেন্স ক্লিনিকের সামনে এক সারিতে রাখা, রাস্তায় মোটরসাইকেল না রাখা এবং মোটরসাইকেলে কেবল দু’জন যাত্রী থাকা, পাটগুদাম ব্রিজের অবৈধ হোটেল ও দোকান তুলে সিএনজি স্ট্যান্ড করা, পুলিশের লোকবল বাড়ানোসহ ২৪ দফা পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।
শহরবাসীর মতে, সব সড়ক সঙ্কীর্ণ। তদুপরি যানজট তীব্র করছে রিকশা ও ইজিবাইক। বড় প্রতিষ্ঠানের গাড়ি থাকলে ভিড় বেশি হয়। ড্রেন ও সড়ক নির্মাণ দুর্ভোগ বাড়ায়।
আমরা আশা করি, পুলিশ সুপারের শুভ উদ্যোগ সফল হবে সর্বোতভাবে। অন্যথায় জনগণের দুর্গতি কমবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা