‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ এভাবে নিশ্চিত করা যায় না
- ২৬ অক্টোবর ২০২২, ০০:০৫
একটি সহযোগী দৈনিক পত্রিকার সংবাদদাতা রংপুরের পীরগাছা থেকে এক সচিত্র প্রতিবেদনে জানান, স্বাস্থ্যসেবা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এই সরকার বহু কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছে; কিন্তু সেই মহান লক্ষ্যই পণ্ড হয়ে যাচ্ছে পীরগাছায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকি না থাকায় কয়েক দিন আগে কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বিশেষত রংপুরের চরাঞ্চলের সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। পীরগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেছেন, ৩০ শতাংশ কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমানে বন্ধ। তিনি বলেন, দুই বছর ধরে এখানে ৪৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ ছিল। আজো ৩০ শতাংশ ক্লিনিক খোলে না। তার ভাষায়- ‘সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের শরীরে মরিচা ধরে গেছে, তা পরিষ্কার করতে সময় লাগবে।’ এদের বিরুদ্ধে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে।
পীরগাছা উপজেলায় কমিউনিটি ক্লিনিক ৪৪টি। ছাওলা ইউনিয়নের দৌলত খাঁ মৌজায় একটি রয়েছে। নিয়ম হলো- এসব ক্লিনিকে স্থায়ীভাবে একজন করে কমিউনিটি হেলথকেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) দায়িত্ব পালন করবেন। প্রত্যেক সপ্তাহে একজন করে স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন এফডাব্লুএ তিন দিন কমিউনিটি ক্লিনিকে বসার কথা। ১৮ অক্টোবর সরেজমিন দেখা গেছে, সিএইচসিপিদের একজন ছুটিতে। তাই ১৬ অক্টোবর থেকে দৌলত খাঁ কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ। এ কারণে দুর্গম চরাঞ্চলের গণমানুষ সংসারের সব কাজ ফেলে রেখে চিকিৎসাসেবা নিতে এসেও ফিরে যাচ্ছেন কোনো সেবা না পেয়েই। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ এক দিকে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত, অন্য দিকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ সাংসারিক কাজের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। জনৈক অধ্যাপক বলেছেন, গত সপ্তাহে ক্লিনিক চার দিন বন্ধ ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিকের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। পীরগাছা উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলেছেন, একজন সিএইচসিপি তিন দিনের ছুটিতে যাওয়ায় দৌলত খাঁ কমিউনিটি ক্লিনিকের দরজা বন্ধ। তবে এভাবে জনগণের ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য’ নিশ্চিত করা যায় না বলে জনগণের অভিমত।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা