২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিশুদের ক্লাস

আর কতকাল চলবে?

-

নয়া দিগন্তের মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা সচিত্র প্রতিবেদনে এবার জানিয়েছেন, সেখানে কয়েকটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে মৃত্যু আতঙ্ক নিয়ে ১০টি প্রাইমারি স্কুলে ক্লাস করতে হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের। প্রতিবার এসব বিদ্যালয় ভবনে কেবল চুনকাম করেই শিক্ষাকার্যক্রম চালানো হচ্ছে। কোথাও কোথাও বিকল্প ব্যবস্থা রূপে টিনশেড ঘর তুলে নেয়া হয়েছে। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ায় ব্যবহার-অযোগ্য ভবনগুলোতে যেকোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা বা বিপদ হতে পারে নিঃসন্দেহে। তদুপরি অকস্মাৎ বর্ষণের সময় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীতি বৃদ্ধি পায়। এসব ভবনের দরজা-জানালার গ্রিল পর্যন্ত খসে পড়ায় পাঠদান প্রায় অসম্ভব।
জানা যায়, চলমান মহামারী করোনার ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হওয়া ছাড়াও তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলায় এখন অন্তত ১০টি সরকারি প্রাইমারি স্কুলে পাঠদান করা ভয়াবহ আতঙ্কজনক হয়ে উঠেছে। বাস্তবে বেশির ভাগ বিদ্যালয় কোনো বিকল্প ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফলে তাদের ক্লাস চলছে জীর্ণ ভবনে যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। এসব স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীরা এমন অবস্থা দেখে হতাশ। মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, উত্তর চত্রা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভিকাখালি স্কুল, কিসমত ছৈলবুনিয়া স্কুল, দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ স্কুল, দক্ষিণ গাবুয়া স্কুল, পূর্ব রাজিতা স্কুল, উত্তর গাবুয়া স্কুল, দক্ষিণ সুলতানাবাদ স্কুল ও করমজাবুনিয়া স্কুলসহ ১০টির মতো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস নিতে হচ্ছে। ভবনগুলো ব্যবহার করার অযোগ্য হিসেবে নিলামের জন্য দর ঠিক করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায় উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ। অপর দিকে, প্রমত্তা পায়রা নদের ভাঙনে একটি উচ্চবিদ্যালয় ও কয়েকটি প্রাইমারি স্কুল অন্যত্র সরাতে হয়েছে। সুন্দা কালিকাপুর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন তিন বছর আগে ভাঙনের কবলে পড়ায় বেড়িবাঁধের বাইরে টিনশেডে স্কুলটির কাজ চালানো হচ্ছে। কিন্তু এ কারণে সংশ্লিষ্ট সবাই উদ্বিগ্ন ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে রয়েছেন।
দেখা যায়, স্কুলের জীর্ণশীর্ণ কয়েকটা ভবনে ছাদের কোনো পলেস্তারা নেই। মরিচাওয়ালা লোহার রড ফেটে ফেটে পড়ছে। নিরাপত্তা থামের ইটসুরকি খসে পড়ে রড বেরিয়ে এসেছে। কিছু বিদ্যালয়ে জানালা পর্যন্ত নেই। কারণ সেগুলো মরিচা ধরে ভেঙে পড়েছে। উত্তর চত্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবন কর্তৃপক্ষ পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ দিয়ে পাশেই টিনশেড নির্মিত হয়েছে স্কুলের কাজ চালানোর জন্য। তবে ক্লাসরুম ও অফিসরুমের অভাব সেখানে নিদারুণ। তাই কষ্ট করে সবাইকে ক্লাস করতে হয়। ফলে নতুন ভবনের দাবি বেশ জোরালো। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, কোনোমতে ক্লাস চললেও দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় ছেলেমেয়ে নিয়ে। উত্তর চত্রা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ২২ বছর আগে ২০০০ সালে চার রুমের বিল্ডিং এখানে তৈরি হয়। তবে বর্তমানে সেটি অত্যন্ত জরাজীর্র্ণ। ফলে ক্লাস নিতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে। কাছে ছোট একটি টিনশেড তুলে ক্লাস নিতে হয়। তবে বৃষ্টির পানি সেখানে ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। এতে বিদ্যালয় চালাতে অত্যন্ত অসুবিধা হয়। এখন নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা জরুরি। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য- ‘এসব জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনের তালিকা ওপরে পাঠানো হয়েছে। বিকল্পভাবে পাঠদানের ব্যবস্থাও রয়েছে।’
এ অবস্থা আর কতদিন চলবে, সেটিই জনমনে বড় প্রশ্ন- যার জবাব কর্তৃপক্ষের দেয়া জরুরি। এভাবে একটি দেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না কিছুতেই।


আরো সংবাদ



premium cement
গণমাধ্যমের ওপর হামলা সহ্য করা হবে না : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জাপানে রকেট পরীক্ষাস্থলে ভয়াবহ আগুন সিলেটে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ৩ আদানির সাথে বিদ্যুৎ চুক্তি : হাইকোর্টের লিখিত আদেশ প্রকাশ কুমিল্লা সীমান্তে মাদকসহ ভারতীয় নাগরিক আটক এশিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন নিয়ে রাশিয়ার পাল্টা হুমকি ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানে নিহত আরো ৬, সেনা মোতায়েন রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ বিয়ের প্রলোভনে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার প্রথম দিনই চীন-মেক্সিকো-কানাডার ওপর শুল্ক আরোপ করবেন

সকল