টিসিবির ডিলারশিপ পাওয়ার লোভ
- ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
একটি সহযোগী দৈনিকের কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা জানিয়েছেন, টিসিবির ডিলারশিপ পাওয়ার জন্য ভুয়া প্রতিষ্ঠানের তোড়জোড় ব্যাপক। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর শর্তমাফিক, কোনোটিই নেই এসব প্রতিষ্ঠানের। বেশির ভাগ মালিক কোনো সময়ই ব্যবসায়ী ছিলেন না। অন্যের প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ডিলার হতে চাচ্ছেন তারা। তদুপরি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে এ জন্য চেষ্টা তদবির চালানো হচ্ছে।
আলোচ্য প্রতিবেদনে জানানো হয়, সরকারের অন্যতম প্রধান জনকল্যালমূলক পদক্ষেপ হলো, টিসিবির ডিলারদের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়। এই ডিলারশিপ পেতে শর্তানুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান অবশ্যই মুদি মালের কারবারি হতে হবে। এ জন্য তাদের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্সের সাথে তিন-চার টন ধারণক্ষম গুদাম থাকা চাই। আরো বলা হয়েছে, অতীতে ডিলার থাকাকালে পণ্য সরবরাহে অনিয়ম করে কালোবাজারে মালামাল বিক্রির দায়ে অভিযুক্তরা আবার টিসিবির ডিলারশিপের জন্য নতুন করে আবেদন করতে পারবেন না। কিন্তু এখানকার আবেদনকারীদের বেশির ভাগই সেসব শর্ত পূরণ করেননি। এমনকি, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কোনো শর্তই পূরণ করেনি। তারা অন্যের প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ডিলারশিপ পেতে চান, যা নিয়মসম্মত নয়। তা ছাড়া, তারা প্রভাব খাটিয়ে তদবির করাচ্ছেন। তাদের কথা, টিসিবির ডিলারশিপ পেলে অন্যের দোকান ভাড়া নিয়ে ডিলারের কাজ চালিয়ে যাবেন। জনকল্যাণার্থে টিসিবির পণ্যসামগ্রী সরবরাহের মতো গুরুত্ববহ কাজে যারা ডিলার হতে আবেদন করেছেন, তাদের কাগজপত্র যাচাই ও তথ্যানুসন্ধানে এসব জানা যায়। আসলে মুনাফার লোভেই তারা এসব করছেন বলে জানা গেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার আবেদনকারী ৯টির মধ্যে ছয়টিই আবেদনের যোগ্য নয়। এর মধ্যে দু’টির কোনো অস্তিত্বই মেলেনি। আবার টিসিবির পণ্য কালোবাজারে বিক্রির অপরাধে ডিলারশিপ বাতিল হয়ে গেলেও একজন এবার স্ত্রীর নামে আবেদন করেছেন। সাথে চাচাতো ভাইয়ের নামও আছে। একটি কলেজের ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্টও টিসিবির ডিলার হতে চান। তার কলেজের পেছনে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থাকার দাবি করা হলেও তদন্তে তাদের কোনো দোকান পাওয়া যায়নি। জানা যায়, উপজেলার বারোবাজারে এক আবেদনকারী অন্য এক প্রতিষ্ঠানে হঠাৎ মুদি দোকান দিয়েছেন। কীটনাশক ও সার ব্যবসায়ীরাও আবেদন করেছেন। কারো কারো শুধু পশুখাদ্যের ব্যবসায় আছে, তা-ও অন্য জেলাতে। এমন একজন, ভাইপোর ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে নিজের বলে দেখিয়ে আবেদন করেছেন। কালীগঞ্জের ইউএনও বলেন, ‘সব তদন্ত শেষ হলে যাচাই বাছাই করে জেলায় নাম পাঠানো হবে। প্রয়োজনে নিজে তদন্ত করব। টিসিবির মতো জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কাজে অবশ্যই সবাইকে শর্ত মেনে চলতে হবে। শর্তের বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানই কাজ পাবে না।’
এ বিষয়ে নিয়ম ও শর্ত মেনে টিসিবি ডিলারশিপ বরাদ্দ করা হবে বলে আমরা আশা করি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা