২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
সরকারি ভবনে মরণফাঁদ

দুর্ঘটনা রোধ করুন

-

একটি সহযোগী দৈনিক জানায়, পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়া উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার অফিস ভবন সংস্কার না হওয়ায় এক প্রকার মরণফাঁদে এটি পর্যবসিত হয়েছে। ভবনের ছাদের বিম ও পলেস্তারা খসে পড়ে নিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ভবনটি যেকোনো সময়ে ধসে পড়ে এখানে বড় অঘটন ঘটে যেতে পারে।

জানা গেছে, অফিসের স্টাফ এবং জমি রেজিস্ট্রি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জরাজীর্ণ ভবনটি নিয়ে এখন মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে তাদের দাবি। কয়েক দিন আগে এ ভবনে বিদ্যুৎচালিত পাখাসহ ছাদের পলেস্তারা খসে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ায় তাদের মধ্যে আতঙ্ক অনেক বেড়েছে। ১৯৮৮ সালে ভাণ্ডারিয়া উপজেলার এই গুরুত্বপূর্ণ ভবন নির্মিত হয়েছিল। তবে সরকারের কোন মন্ত্রণালয়ের কোন বিভাগ এটি তৈরি করেছে, তার কোনো সঠিক তথ্য কোথাও পাওয়া যায়নি। বলা বাহুল্য, খুব নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজটি করা হয়েছে। এই ভবনের ছাদের বিভিন্ন জায়গার ঢালাই সরে গেলে দেখা যায়, রড ব্যবহৃত হয়েছে ১০ মিলিমিটারের বদলে ৮ মিলিমিটার। ফাউন্ডেশনহীন দেয়াল দিয়ে তৈরি করা ভবনে ঢালাই বিম বা কলাম নেই। নির্মাণসামগ্রীর মান না থাকায় দেয়াল ফাটল দিয়ে এবং ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়তে থাকে। এক যুগ আগে একবার মাত্র সংস্কার করা হয়েছিল এটা। অথচ এরপর সময়মতো সংস্কার না হওয়ায় এটা মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে পলিথিন দিয়ে ঢেকে মূল্যবান দলিলপত্র ও বালাম বই সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। তবুও এগুলো সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ঝড় বৃষ্টি হলে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বালাম বইসমেত দামি দামি দলিল দস্তাবেজ ও কাগজপত্র বাঁচানো অত্যন্ত কঠিন। অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারী, নকলনবিস ও দলিল লেখকসহ ৩৮ জন ঝুঁকি নিয়ে ভবনটিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা সর্বদাই ভয়ে ভয়ে থাকেন, কোন সময়ে না জানি এই ভবন ধসে পড়ে। তাদের দুশ্চিন্তায় ঠিকভাবে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। সে উদ্বেগ হলো, আর সুস্থ দেহে বাড়ি ফিরতে পারবেন কি?

একজন নকলনবিস জানান, এখন বর্ষায় ঝড় বর্ষণ আরম্ভ হলেই তাদের সর্বাধিক আতঙ্কে থাকতে হয়। কোন মুহূর্তে এই ভবন ধসে পড়ে, ঠিক নেই। মাত্র এক মাস আগে বৈদ্যুতিক পাখাসহ পলেস্তারা খসে তিনিও গুরুতর আহত হন। এখানকার একজন অফিস সহকারীর বক্তব্য, কখন এ দুর্ভোগের অবসান হবে, কেউ জানে না। দলিল লেখকরা জানিয়েছেন, এখানে কাজ করতে গেলে সর্বক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। জমির ক্রেতা-বিক্রেতারাও আতঙ্কে আছেন। উপজেলা সাবরেজিস্ট্রারও বলেছেন, ‘ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানান হয়েছে এ বিষয়ে।’

আমরা মনে করি, অনতিবিলম্বে অন্যত্র এই অফিস আপাতত সরিয়ে নিয়ে না গেলে বড় ও মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আইনজীবী আলিফের জানাজায় হাসনাত-সারজিস জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা : খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করবেন মির্জা ফখরুল ইসরাইল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে যা জানা যাচ্ছে আবারো রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী আনিসুল-কামরুল শিল্পপতির বাড়িতে ডাকাতি : ৭ লাখ টাকা, ৪০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ২৪ ঘণ্টায়ও মহাসড়ক ছাড়েনি ডিইপিজেডের লেনী ফ্যাশনের শ্রমিকরা বুধবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ চীন সীমান্তের কাছে গুরুত্বপূর্ণ শহরের দখল নিল মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা

সকল