কর্তৃপক্ষের নজর নেই কেন?
- ২৬ জুন ২০২২, ০০:০০
সাতক্ষীরা-খুলনা মহাসড়কের বিনেরপোতা এলাকায় অবৈধভাবে ট্রাক্টর, ট্রলি ও ডাম্পারে করে মাটি বহন করার সময় মাটি পড়ে মহাসড়ক পর্যন্ত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। রাস্তার পিচের উপর মাটি পড়ে এখন বৃষ্টির পানিতে ভিজে মহাসড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাওয়ার কারণে যান ও পথচারী চলায় ভোগান্তির শেষ নেই। এ অবস্থায় প্রায় প্রত্যেক দিন দুর্ঘটনা ঘটছে যার শিকার নিরীহ পথচারী ও যানবাহন। সম্প্রতি রাতে কর্দমাক্ত পিচ্ছিল পথে পিছলে পড়ে দু’জন মোটরসাইকেল আরোহীর প্রাণহানি ঘটেছে। নয়া দিগন্তের সাতক্ষীরা প্রতিনিধির পাঠানো প্রকাশিত এক সচিত্র সংবাদে এটি জানা যায়।
জানা গেছে, স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধানে সাতক্ষীরা শহরের অদূরে, বিনেরপোতা এলাকার বেতনা নদী খননের মাটি বেচে সে মাটি সদর উপজেলায় কাসেমপুর বাইপাস সড়ক এলাকার বিল, বালিয়াডাঙ্গা বিল, নিচু জমি, পুকুর, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, জমি ও বসতবাড়ির ভিটা ভরাটের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। এবার বর্ষণের পর বিশেষত বিনেরপোতা বাইপাস সড়কটি কাদামাটিতে একাকার হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি রাত সাড়ে ৯টায় পাটকেলঘাটা থেকে এক মোটরবাইকে তিনজন জেলা শহরে আসার পথে বিনেরপোতা বাইপাসের কাছে কাদামাটিতে পিছলে পড়েন। তখন একটি গাড়ি তাদের চাপা দিলে তৎক্ষণাৎ একজন নিহত হন এবং হাসপাতালে আরো একজন মারা যান। আর বাইকের ড্রাইভার হন মারাত্মকভাবে আহত।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আসলে সরকারি প্রশাসনকে ম্যানেজ করেছেন কয়েক বছর যাবৎ কয়েকটি ইটভাটা মালিকসহ মাটি ব্যবসায়ীরা। অবৈধভাবে চলা যানবাহনে করে পাকা সড়ক দিয়ে এ মাটি নিয়মিত বহন করে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ভাটায় বিক্রি করছেন তারা। লাবসা-দেবনগর রাস্তা ছাড়াও কাসেমপুর, বিনেরপোতা মহাসড়ক ও ছোট অলিগলিতে চলতে গিয়ে এসব গাড়ি থেকে মাটি পড়ে মানুষের বিষম দুর্ভোগ ঘটাচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ী, অবৈধ ট্রাক্টর, ট্রলির মালিক ও ইটভাটা মালিকদের বিরুদ্ধে দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সওজের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ‘সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার আমাদের কাজ হলেও অবৈধ ও বেআইনি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া পুলিশের দায়িত্ব।’ আর জেলা প্রশাসক বলেছেন, ‘মহাসড়ক ও সড়কে অবৈধভাবে মাটি নিয়ে কোনো যানবাহন চললে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে’। এ যাবৎ যারা আইন ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে তিনি সে সম্পর্কে কিছু বলেননি। তা ছাড়া, সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের অন্যের সমালোচনা করাও সমাধান নয় উদ্ভূত সমস্যার।
আমাদের প্রত্যাশা, কর্তৃপক্ষ জনমনে নিরাপত্তা ও স্বস্তি ফেরাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং তা অবিলম্বেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা