জনগণকে স্বস্তি দিতে হবে
- ১৫ জুন ২০২২, ০০:০০
নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদনে এর নীলফামারীর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এক রাস্তার নীলফামারী শহর বর্তমানে জঞ্জাল ও ময়লা আবর্জনায় ভর্তি। শহরবাসী দীর্ঘকাল প্রতি মুহূর্তে বিপদের শঙ্কা ও নোংরা পরিবেশ নিয়ে এখানে বাস করে আসছে। শহরটির প্রবেশদ্বারতুল্য কলেজটি থেকে গাছবাড়ি পর্যন্ত সড়কে যেন সবই আছে। আছে দখলদারির মহাতাণ্ডব। সড়কে দাবড়ে বেড়ায় অটোরিকশা ভ্যান ভটভটি নছিমন করিমন পাগলু রিকশা ট্রলি যাত্রী বোঝাই বাস আর ১০ চাকার ট্রাক। আছে সকাল থেকে রাত অবধি রাস্তা দখলে রাখা ঢাকাগামী বহু কোচ।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, নীলফামারীতে রোজ সকালে রাস্তা দখলে নিয়ে ব্যবসায়ীরা ট্রাক থেকে সিমেন্ট নামাচ্ছে। একইভাবে রাস্তার ওপর বসছে ফলমূলের পসরা। তদুপরি দোকানিরা মালামালসহ দেড়হাতি ফুটপাথ দখল করে আছে। প্রতিদিন সকাল দুপুর রাতে বাজার ট্রাফিক মোড়, পৌর মার্কেট, শাহীপাড়ার বিডি হল মোড় ও চৌরঙ্গী মোড়ে রাস্তা দখল করার অন্যায় প্রতিযোগিতা চলছে। শত শত কোচের পাশে আছে ট্রাক; আছে ভটভটি ও নছিমন; তদুপরি যাত্রীবাহী বাসের সাথে চলে বেপরোয়া অটোরিকশার বেআইনি প্রতিযোগিতা।
এ অবস্থায় কখনোবা যানজটে পড়ে এ শহর মুহূর্তেই হয়ে যায় অচল ও স্থবির, তখন জনগণের জীবনযাত্রা পুরো থমকে যায়। এক চুলও যেন নড়া যায় না। চোখে না দেখলে বোঝা যায় না মানুষ এ অবস্থায় কতখানি অসহায় ও নিরুপায়।
এখন ছোট শহর এক সড়কের নীলফামারীতে হাতে প্রাণ নিয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে রাস্তায় চলাচল কিংবা পার হতে হয়। তাদের অধিকাংশই শিশু-কিশোর। রাস্তা পারাপার যে কত বেশি অনিরাপদ ও বিপজ্জনক তা না দেখলে বোঝা যাবে না। এ অবস্থাতেই স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের নিজ প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসা করতে হয়। সড়কের পাশেই অবস্থিত জানকীনাথ সরকারি প্রাইমারি স্কুল, সরকারি মহিলা কলেজ, ছমির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। অভিন্ন ক্যাম্পাসে রয়েছে- নামকরা নীলফামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; আছে শহীদ জিয়া উচ্চবিদ্যালয়, বিএম কলেজ, পুলিশ লাইন্স একাডেমি প্রভৃতি। এ সড়ক পথেই যাতায়াত করতে হয় সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, রাবেয়া বিদ্যানিকেতন, নতুনবাজার দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়, নতুন বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শাহীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো কমপক্ষে ছয়-সাতটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কিশোর-তরুণ শিক্ষার্থীকে।
জানা গেছে, নীলফামারী শহরের শতভাগ রিকশা ও অটোরিকশা চালকই আনাড়ি ও অনভিজ্ঞ। তাদের কেউ কেউ সামান্য লেখাপড়া জানলেও তারা নাগরিক আইন-কানুন, যানবাহন চালানোর নিয়ম প্রভৃতির কোনো প্রকার তোয়াক্কাই করে না। জেব্রাক্রসিং দূরে থাক, শতকরা ৯০ জন রিকশাওয়ালা যেন ডান-বাম পর্যন্ত বুঝতে শেখেনি। অথচ এদের নিয়ন্ত্রণকারী কোনো কর্তৃপক্ষই নেই। এ দিকে ভাড়ার ব্যাপারে প্রায় প্রত্যহ তাদের সাথে তর্কবিতর্ক, এমনকি মারামারিও ঘটছে যাত্রীদের।
অন্য দিকে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাইপাস রোড কয়েক বছর যাবৎ অলস পড়ে আছে। ভারী যানবাহন সে সড়ক ব্যবহার না করে নীলফামারী শহরের একমাত্র সড়ক ধরেই চলছে। আবার ঢাকামুখী কোচ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনালে যাচ্ছে না। জনপ্রতিনিধিরা এসব বিষয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না।
মোট কথা, যানজট নিরসন করে নীলফামারীর মানুষকে স্বস্তি দেয়াই বর্তমানে সময়ের দাবি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা