দীর্ঘদিন যাবৎ কিভাবে চলে?
- ০৩ জুন ২০২২, ০০:০০
‘দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দোকানে দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিশালদেহী একটি হাতি। পিছু পিছু হাঁটছে ছোট্ট আকৃতির আরেকটি হাতি। দোকানসহ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া শিক্ষার্থী, পথচারীসহ কোনো যানবাহনই ছাড় পাচ্ছে না। পিঠে ভাব নিয়ে বসে আছেন মাহুত। আর এই মাহুতের নির্দেশেই এক দোকান থেকে আরেক দোকানে যাচ্ছে হাতি দু’টি। তারপর শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে দোকানির কাছে। শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দেয়া পর্যন্ত শুঁড় সরাচ্ছে না হাতিটি। টাকা না দিলে উল্টো ভয় দেখাচ্ছে মাহুত। এভাবেই অভিনব কৌশলে হাতি দিয়ে চলছে চাঁদাবাজি। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।’
সহযোগী এক দৈনিকের ফুলবাড়ী প্রতিনিধির সচিত্র প্রতিবেদনের প্রথম অনুচ্ছেদ এটি। উল্লেখ্য, হাতি হলো পৃথিবীতে স্থলভাগের বৃহত্তম চতুষ্পদ প্রাণী এবং এর বিশেষ পরিচয় প্রতিশোধপরায়ণতা ও সহিংসতা। এমনিতে বিশাল প্রাণীটিকে শান্ত মনে হতে পারে।
গত শুক্রবার সরেজমিন ওই সাংবাদিক দেখেন, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর বাজারসমেত নানা জায়গায় মাহুত দু’হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি করছেন। সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে শুরু করে নেয়া হয় দেড় শ’ টাকা পর্যন্ত, দোকানের ধরন অনুসারে। দোকানের পাশাপাশি রাস্তায়ও চলে কথিত চাঁদার নামে টাকা আদায়ের কারসাজি। তদুপরি, যানবাহনের চলাচলে বাধা দিয়ে মাহুতকে টাকা তুলতে দেখা যায়। উপজেলা সদরে কালিবাড়ী বাজারের এক দোকানে মাহুতের ইশারায় হাতি শুঁড় বাড়িয়ে দেয়। তৎক্ষণাৎ উক্ত দোকানি ২০ টাকা তার শুঁড়ে গুঁজে দিলেন। তিনি বলেন, ‘টাকা না দেয়া পর্যন্ত হাতি সরবে না। অনেক ক্ষেত্রে তারা ভাঙচুরও চালায়। এ জন্য ঝামেলার আগেই হাতিকে বিদায় করে দিতে হয় টাকা দিয়ে।’ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানালেন, মাঝে মাঝেই নানান জায়গায় হাতি দিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। সব দোকানেই এই চাঁদা নেয়া হয়। অন্যথায় মাহুত হাতি সরায় না। অনেক সময় শিশু, মহিলা এমনকি, সাধারণ মানুষও ভয় পান হাতিকে। এতে ব্যবসার ক্ষতি হয়। প্রশাসনের এটা দেখা দরকার। জানা গেছে, দোকানে চাঁদাবাজি শেষ করে হাতি টাকার জন্য নামে সড়কে। তারা চলমান যান থামিয়ে, যানজট সৃষ্টি করেও চাঁদাবাজি করে থাকে।
মাহুতের সাফ কথা, ‘হাতির ভরণপোষণ করতে টাকা দরকার। সবাই খুশি মনে টাকা দিলে চাঁদাবাজি হয় না। আর আমরা তো কারো ওপর জোরজবরদস্তি করছি না। এটা ঐচ্ছিক ব্যাপার। মন না চাইলে টাকা দেবে না।’ স্থানীয় ওসির গৎবাঁধা বক্তব্য, ‘এ বিষয়ে আমাদের কেউ জানাননি। অভিযোগ পেলে আমরা আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেবো।’
শুধু দিনাজপুরের ফুলবাড়ী নয়, দেশের বহু জায়গায় বহু দিন ধরে হাতির মাধ্যমে চাঁদাবাজি চলছে। আসলে খুশি মনে নয়, বিশাল প্রাণীর ভয়ে মানুষ এ ‘চাঁদা’ দেয়। এসব হাতির মালিকেরই তার ভরণপোষণ করা দায়িত্ব। প্রশাসন দায়িত্ব পালন করলে এসব চাঁদাবাজি চলতে পারে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা