প্রশাসন করছেটা কী?
- ০১ জুন ২০২২, ০০:০০, আপডেট: ৩১ মে ২০২২, ২২:০৫
ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলায় বড় খারদিয়া গ্রামটি অবস্থিত। এখন এটা যেন আতঙ্কের প্রতীক। বিশাল গ্রামটির ১৮টি পাড়া ও আট সহস্রাধিক জনবসতি। আর ভোটার তাদের মধ্যে পাঁচ হাজার। সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, সমাজসেবী, রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিসহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির এ গাঁয়েই জন্ম। নয়া দিগন্তের সালথা সংবাদদাতা এ কথাগুলো জানান।
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, আর্থিকভাবে সচ্ছল বড় খারদিয়া গাঁয়ের মানুষ। প্রচুর ফসল জন্মে; কিন্তু এখানে যুগের পর যুগ ধরে অশান্তি আর আতঙ্ক। বিগত সাত মাসে এ গ্রামে দু’বার সংঘর্ষ হয়েছে। ফলে তিন যুবক নিহত এবং কয়েক শত লোক আহত হয়েছে। মাত্র এক গ্রামেই ভাঙচুর হয়েছে পাঁচ শতাধিক ঘরবাড়ি। সরকারি কর্মকর্তার গ্রামের বাড়িতেও আগুন দেয়া হলো। এক কথায়, গ্রামটির এখন ভয়ঙ্কর রূপ। শান্তি ফেরাতে পুলিশ সর্বোচ্চ মাত্রায় চেষ্টা করেও ব্যর্থ। তাদের নির্দেশও মানা হচ্ছে না। দেশী অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করলেও পরোয়া নেই। লোকজন যেন সহিংস হতেই মরিয়া। এমতাবস্থায় অনেকে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে।
জানা গেছে, এ সহিসংতার কারণ ক্ষমতাসীন দলের কোন্দল। ২০২১ সালের ২৩ অক্টোবর একটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মারামারিতে একজন নিহত হন। গত ৫ মে আবার সংঘর্ষ ঘটে। ফলে মারাত্মক আহত একজন সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করেন এবং পরে ঢাকায় মারা গেছেন একজন। এবার গ্রামটিতে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে শিউরে ওঠার মতো অবস্থা। উভয় গ্রুপের লোকেরা শত শত টিনের ঘর ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। দালানের দেয়ালও ভেঙে ফেলা হয়। সরকারের একজন কর্মকর্তার বসতঘরে ঢুকে আসবাবপত্র পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে এবং দামি মালামাল লুটে নেয়া হয়। জানা যায়, নিহতরা হলেন শ্রমজীবী, কেউবা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাদের স্বজনরা ব্যথায় নির্বাক। তারা কামনা করেছেন হত্যার সুবিচার; কিন্তু তা কি পাবেন?
তিনজন বিধবার বক্তব্য, আমাদের সবার স্বামী ছিলেন দিনমজুর। এখন কী উপায় হবে? গ্রামবাসী জানায়, প্রভাব বিস্তার করতে ও অক্ষুণ্ন রাখার জন্য মানুষকে বাধ্য করা হয় দলে ভেড়ানোর জন্য। অন্যথায় হামলা-মামলায় হয়রানির শিকার হতে হয়। কয়েকজন গ্রামবাসী বলেছেন, ‘মোড়লদের অপকর্মে মিনি শহর বর্তমানে ধ্বংসস্তূপ। এ গাঁয়ের বাসিন্দা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতেও শরম লাগে। সভ্যসমাজ এটাকে বলা যায় না।’
পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলেছে, এ গাঁয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা চলছে। স্বয়ং এসপি গ্রামটি সফর করে গেছেন। মাতব্বর ও জনপ্রতিনিধি নিয়ে বারবার বৈঠকে বসা হয়েছে। সশস্ত্র কিছু ব্যক্তিকে মামলাসহ আদালত দ্বারা জেলে পাঠানো হয়। সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে। বড় খারদিয়া গ্রামে পুলিশের ক্যাম্প বসেছে।
যেকোনো মূল্যে অবিলম্বে বড় খারদিয়াসহ দেশের সর্বত্র শান্তি কায়েম করা হবে বলে আমরা আশাবাদী। এটা প্রশাসনের গুরুদায়িত্ব।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা