অগ্রগতি কিভাবে হলো সে তথ্য নেই
- ৩১ মে ২০২২, ০০:০০
রাজধানীতে বায়ু ও শব্দদূষণ নিয়ে নতুন এক গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, রাজধানীর বায়ুর মানের উন্নতি হয়েছে। তথ্যানুযায়ী, সবচেয়ে বেশি দূষিত বায়ু শাহবাগে। আর সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণ হয় গুলশান-২ নম্বরে। এ ছাড়া নগরীর ১০টি স্থানের বায়ুমান সূচক অনুযায়ী অবস্থা ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে জানানো হয়। ইউএসএআইডির অর্থায়নে কয়েকটি এনজিও এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিভাগের যৌথ গবেষণার ফল প্রকাশ করে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) নামে একটি প্রতিষ্ঠান।
নগরীর ১০টি স্পটে বায়ু ও শব্দের মান পরীক্ষা করে গবেষণার প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে দেখা গেছে, শাহবাগ এলাকায় বায়ুদূষণ সর্বোচ্চ। সেখানে বাতাসে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ধূলিকণা অর্থাৎ পিএম ২.৫-এর গড় উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ৮৫ মাইক্রোগ্রাম। আর সর্বনিম্ন বায়ুদূষণ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায়, পিএম ২.৫-এর গড় উপস্থিতি প্রতি ঘনমিটারে ৭০ গ্রাম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা শহরের ১০টি এলাকার মধ্যে গুলশান-২ এলাকায় শব্দের সর্বোচ্চ মান এলইকিউ ৯৫.৪৪ ডেসিবেল, যা মিশ্র এলাকার জন্য দিনের বেলার জাতীয় আদর্শমান (৫৫ ডেসিবেল) থেকে ১.৭ গুণ বেশি। এর পরের অবস্থান আবদুল্লøাহপুরে, ৯৫.৪৩ ডেসিবেল, যা জাতীয় আদর্শমানের (৬০ ডেসিবেল) থেকে ১.৬ গুণ বেশি।
এই গবেষণা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণ উদ্বেগজনক পর্যায় থেকে প্রায় সহনীয় পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। কারণ অতি সাম্প্রতিককালেও আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকা ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই-বিষয়ক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ার ভিজ্যুয়াল’-এর বায়ুমান সূচক (একিউআই) বায়ুদূষণের গড় মানমাত্রা পাওয়া যায় ৫০২, যা ছিল এর আগের দুই বছরের সর্বোচ্চ।
বাতাসে পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি ৫০ থেকে ১০০ মি.গ্রা পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হলেও সহনীয় ধরা হয়। সেখানে শাহবাগে যদি ৮৫ মি.গ্রা পাওয়া গিয়ে থাকে তাহলে এটা এক বিরাট অর্জন বলতেই হয়। কিন্তু এই অগ্রগতি কিভাবে অর্জিত হলো বা সরকারের কী কী পদক্ষেপে সুফল মিলল সে সম্পর্কে কোনো তথ্য ক্যাপস দিয়েছে কি না গতকালের পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত এ সম্পর্কিত রিপোর্টে তার কোনো উল্লেøখ নেই। তবে বায়ুদূষণ রোধে ক্যাপসের কিছু দাবি তুলে ধরা হয়েছে।
ক্যাপসের দাবির মধ্যে জনস্বাস্থ্য ও স্বার্থ রক্ষায় সরকার ও সচেতন মহলের সমন্বিত অংশীদারিত্বমূলক, বিজ্ঞানভিত্তিক, টেকসই ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া থেকে শুরু করে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর কথাও আছে। গবেষকরা দাবিদাওয়া নিয়ে বিশেষ করে মন্ত্রণালয়ের অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো-কমানোর দাবি নিয়ে এলে তাদের গবেষণার উদ্দেশ্য নিয়ে কথা ওঠার অবকাশ তৈরি হয়। তারা ঢাকার দূষণ রোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের কথা বলবেন সেটিই স্বাভাবিক এবং প্রত্যাশিত। কিভাবে এটা করা যাবে সেই সুপারিশও তারা করতে পারেন সরকারের কাছে। কিন্তু গবেষণার কাজের চেয়ে সেটি মুখ্য হয়ে উঠলে তা শোভন মনে হয় না।
যাই হোক, ঢাকার বায়ুর মান উন্নত হয়ে থাকলে নিঃসন্দেহে নাগরিকদের জন্য তা সুখবর। তবে এই গবেষণার বিস্তারিত রিপোর্ট জানতে পারলে তথ্য-উপাত্ত সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরো স্পষ্ট হতো। সেই সাথে প্রত্যাশা, বিদেশের টাকায় সংশ্লিষ্টরা আরো সমন্বিত গবেষণা করবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা