চট্টগ্রামের দিকে নজর দিন
- ২৫ মে ২০২২, ০০:০০
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিশাল এলাকায় সাগর-নদীর ভাঙন প্রতিরোধে বর্তমান ব্যাপক কাজের সাথে মিল রেখে, নতুনভাবে বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিস্তীর্ণ উপকূল রক্ষার্থে বিভিন্ন প্রকল্পের ক্ষেত্রে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজে ধীরগতির অভিযোগ এসেছে। নয়া দিগন্তের পটিয়া-চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা এ খবর দিয়ে জানান, এ কাজে ৩০৩৪ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ আলাদা আলাদা প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু তার বাস্তবায়নে ধীরগতি থাকায় প্রকল্প আলোর মুখ না দেখলে বিস্তীর্ণ এলাকা অরক্ষিত থেকে যাবে।
জানা যায়, এখন উপকূল সুরক্ষায় কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ ও ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে। এর আওতায় ৮৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ এবং সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন জনপদে সুরক্ষার কাজ সামনের মাসে সমাপ্ত হওয়ার কথা। এর সাথে তালমিলিয়ে চলতে হবে নয়া প্রকল্পের কাজ। না হয় জনপদ রক্ষা করা যাবে না। আরো জানানো হয়েছে, চলমান কাজগুলোর সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে, ১৭৫৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশেষত সন্দ্বীপ ও খাগড়াছড়ির সাগর-নদীর উপকূল সুরক্ষা প্রকল্পের ডিপিপি এখন সরকারের পরিকল্পনা কমিশনে রয়েছে। অন্য দিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সদর দফতরে আছে বাঁশখালী ও আনোয়ারা সমুদ্র উপকূল সুরক্ষার জন্য যৌথভাবে গ্রহণ করা ১২৬৯ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ প্রকল্প। চলতি কাজের সাথে সঙ্গতি রেখে বাস্তবায়িত হলে এই প্রকল্প সুপারডাইকের মতো রক্ষা করবে বৃহত্তর চাটগাঁর বিস্তীর্ণ উপকূলীয় এলাকা। অন্যথায়, জনগণের কোটি কোটি টাকার অপচয় হতে পারে।
এ দিকে বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়াতে ১১৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন প্রকল্পসমেত ২৩৬০ কোটি টাকা ব্যয়ের চলমান, ভাঙনের টেকসই প্রতিরোধ প্রকল্পের কাজের মধ্যে ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সন্দ্বীপ, ২৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁশখালী এবং ৩৩৩ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজেলার স্থায়ী বেড়িবাঁধ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে। এসব কাজের সাথে মিল রেখে পাউবোর চট্টগ্রাম ডিভিশন-১ ও ডিভিশন-২ আরো তিন হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে উপকূল সুরক্ষা, ভাঙনরোধ, ড্রেজিং, অবকাঠামো তৈরি, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন এবং সেচসংক্রান্ত প্রকল্পের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করেছে। তা বর্তমানে প্ল্যানিং কমিশন ও পাউবো সদর দফতরে। এগুলো সঙ্গতি রেখে, ঠিকমতো বাস্তবায়িত হলে অরক্ষিত উপকূল সুরক্ষিত থাকবে।
জানা যায়, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, পটিয়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালী, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার এমপিদের (তাদের মধ্যে মন্ত্রীও আছেন) প্রচেষ্টায় সাগর, নদী ও খালের ভাঙনরোধে ২০১৫ ও ’১৭ সালের মধ্যে প্রণয়নকৃত প্রায় ২৫৬০ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ, চলমান কাজের সর্বশেষ সময় ছিল ৩০ জুন, ২০২১ সাল। তবে করোনা ভাইরাসজনিত বিশ্বমহামারীর দরুন এসব প্রকল্পের মেয়াদ স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়। এর মধ্যে, ৮৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সন্দ্বীপ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশ উপজলোর কাজ সমাপ্ত হওয়ার কথা চলতি সালের জুন মাসের মধ্যে। আর ১১৫৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পটিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাশন প্রকল্প এবং ৫৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ের আনোয়ারা উপজলোর উপকূল সুরক্ষা কাজের প্রকল্পও সময়মতো শেষ হয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায়। এসব কাজের সাথে সঙ্গতি রেখেই নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। নতুন প্রকল্প মোতাবেক, পটিয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচব্যবস্থা উন্নত হবে এবং আনোয়ারার পারকি সমুদ্রসৈকতসমেত ২১০০ মিটারজুড়ে বন্যা প্রতিরোধ হবে টেকসই। তা ছাড়া সন্দ্বীপ-সীতাকুণ্ড-খাগড়াছড়ি হবে সুরক্ষিত।
আমরা আশা করি, সরকার বৃহত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে যথাসময়ে আলোচ্য প্রকল্পগুলো শেষ করবে। অন্যথায়, জনগণের অর্থের সদ্ব্যবহার এবং জনপদের সুরক্ষা, কোনোটাই নিশ্চিত হবে না।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা