এলো খুশির বারতা
- ০১ মে ২০২২, ০০:০০
‘ঈদ’ মানে আনন্দ। পবিত্র ঈদুল ফিতর প্রতি বছর খুশির বারতা নিয়ে ফিরে আসে আমাদের মাঝে। শাওয়ালের নতুন চাঁদ তাই মুসলিম উম্মাহর কাছে বহুল প্রত্যাশিত। এক মাস সিয়াম সাধনার পর পবিত্র ঈদুল ফিতর। শাওয়ালের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে কাল সোমবার অথবা পরশু মঙ্গলবার পবিত্র ঈদুল ফিতর। এ জন্য শাওয়ালের চাঁদ মুসলিম উম্মাহর অতীব কাক্সিক্ষত।
মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর আমরা পালন করি ঈদুল ফিতর। এ জন্য রমজানের সিয়াম সাধনার প্রভাব পড়া স্বাভাবিক এ উৎসব উদযাপনে। রোজার ত্যাগতিতিক্ষার শিক্ষা চারিত্রিক উন্নতি বিধানের অনন্য প্রশিক্ষণ। তারই প্রতিফলন থাকা বাঞ্ছনীয় ঈদ উৎসবে। সমাজের ছোট বড় সবাই যেন এক কাতারে ঈদের আনন্দ উপভোগের সুযোগ পায়, পরম করুণাময় আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। সেই সাথে আমাদের প্রত্যাশা, বৈষম্যহীন সামাজিক ন্যায্যতা যেন সমাজে প্রতিষ্ঠা পায়। সেই মানবিক উপলব্ধি না হলে ঈদের আনন্দে পূর্ণতা আনা সম্ভব নয়। আল্লাহ আমাদের সবার মাঝে ঈদুল ফিতরের সেই পরিপূর্ণ ও প্রকৃত সুখবোধ ছড়িয়ে দিন, আজকের দিনে সেটিই প্রার্থনা। স্মরণে রাখা প্রয়োজন, ঈদ অন্য ১০টি উৎসবের মতো নয়, এটি ধর্মীয় সংস্কৃতিকেন্দ্রিক উৎসব। উৎসবের নামে বাড়াবাড়ি বা স্থূলতা পরিহারের সর্বাত্মক চেষ্টা করা সবার কর্তব্য।
এ দেশের গরিষ্ঠ মানুষের বাস গ্রামে। শহরকেন্দ্রিক মানুষজন এখনো ছুটে যায় গ্রামের বাড়িতে। প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি ও উপভোগ করার রেওয়াজ আমাদের দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্য। স্বজনের টানে ছুটে চলা মানুষ এখনো তাদের সান্নিধ্য পেতে চায়। এর মানবিক ও সামাজিক আবেদন বিপুল। এই ঐতিহ্য লালনে আমাদের পারিবারিক বন্ধন শুধু দৃঢ় হয় না; বৃহত্তর সামাজিক ব্যবস্থা বিলুপ্তির মোকাবেলায় এটা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হওয়ায় ঈদ আমাদের জাতীয় উৎসব। জীবনঘনিষ্ঠ এ উৎসবে নির্মল আনন্দ উপভোগ করে সব শ্রেণীর মানুষ। ধনী-গরিব ব্যবধান ভুলে সবাই ঈদের আনন্দে শরিক হয়। রোজাদার ঈদের নামাজে শরিক হওয়ার আগে সাদাকাতুল ফিতর আদায় করে থাকে। উৎসব হিসেবে ঈদ এতটাই সর্বপ্লাবী যে, এটি অতুলনীয়। ঈদ যেন মুসলিম জীবনে অনিঃশেষ আনন্দের ফল্গুধারা। দুঃখ-বেদনা, শ্রেণিবৈষম্য ও আশরাফ-আতরাফের ব্যবধান ভুলে মানুষ সাময়িকভাবে হলেও এক কাতারে দাঁড়ায় ঈদের দিন। একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরে। শত্রু হয়ে যায় বন্ধু। তাই ঈদের তুলনা শুধু ঈদ, আর কিছু নয়।
আমরা যখন ঈদ আনন্দ উপভোগ করব, তখনো পৃথিবীজুড়ে অসংখ্য মানুষ যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মৃত্যুর প্রহর গুনবে। সেসব অসহায় লাখো নর-নারী-শিশুর কান্নার ধ্বনি আমাদের ব্যথাতুর করে করে তোলে। দেশে দেশে মজলুম মানুষের আহাজারি শুনে আমরা অসহায় বোধ করি। তার পরও উম্মাহর দুয়ারে ঈদ হাজির হয় খুশির বারতা নিয়ে। ঈদের আনন্দে অসহায় মানুষের জন্য কিছু করা সম্ভব না হলেও তাদের বিপদ মুক্তির জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে দোয়া করব আমরা। বিশেষ করে সব বিপদ-মুসিবত থেকে আল্লাহ আমাদের নিরাপদ রাখুন।
ঈদ আমাদের জীবনে অর্থবহ আনন্দ বয়ে আনুক। তাৎপর্যময় হোক এ সুমহান উৎসব। জাতীয় জীবনে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়–ক। এ প্রত্যাশায় সবাইকে ঈদ মোবারক।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা