অস্তিত্ব সঙ্কটে উপকূলীয় খাল-নদী
- ২৫ মার্চ ২০২২, ০০:০০, আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২২, ২১:১২
নয়া দিগন্তের রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, বিশাল খালের মধ্যে বাঁধ। মাছ চাষের জন্য কেউ করেছেন পুকুর। কেউ তৈরি করেছেন ঘের। বাঁধের কারণে পানির প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মরে যাচ্ছে খাল। পানি সঙ্কটে কৃষকরা। রবিশস্যের চাষাবাদ হচ্ছে বিঘিœত। উপকূলের এই উপজেলার চর এলাকায় এ ধরনের দৃশ্যই দেখা গেল।
একই প্রতিবেদক উল্লেখ করেছেন, রাঙ্গাবালী উপজেলার মুগির হাওলা ও দ: কাজির হাওলা এলাকার সরকারি খালগুলো এভাবেই জবরদখলে আছে বছরকে বছর। এর সুরাহার দাবিতে স্থানীয় কৃষকরা মানববন্ধন করেছেন এবং প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েছেন লিখিতভাবে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসনের এ যাবৎ কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ দিকে নদী ও খাল মরে যাওয়ার দরুন দেশী প্রজাতির মাছ ও জীববৈচিত্র্য পড়ছে হুমকিতে। কৃষিবিদ ও মৎস্য বিশেষজ্ঞদের অভিমত, খালগুলো দ্রুত রক্ষা করা না হলে কৃষিকাজের ক্ষতি হবে, দেশীয় মাছের পরিমাণও হ্রাস পাবে। রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মীর মোহাম্মদ আলী বলেছেন, ‘উপকূলের খালে অতীতে প্রচুর দেশী মাছ মিলত। তবে খাল দখল হয়ে যাওয়ায় সে মাছ আর দেখা যায় না। তাই অবিলম্বে খালগুলো পুনরুদ্ধার জরুরি। তা না হলে জীববৈচিত্র্য হুমকিগ্রস্ত এবং এতে পরিবেশগত ভারসাম্য বিনষ্ট হবে।’ একজন কৃষক জানান, ‘বড় বড় খাল শুরুতে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দখলপূর্বক মাছের ঘের বানিয়েছেন। পরে যার যার বাড়ির সামনে বাঁধ দিয়ে পুকুর তৈরি করেছেন। খাল দখলের কারণে বর্ষায় ফসলি জমিতে দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। অপর দিকে রবি মৌসুমে খাল শুকিয়ে গিয়ে পানির অভাব দেখা দেয়। এতে দুর্ভোগ ঘটে বিশেষত তরমুজ উৎপাদক এবং রবিশস্য যারা চাষ করেন, তাদের। তরমুজক্ষেতে পানি দিতে না পারায় কয়েক হাজার টাকার তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে ওই কৃষকেরও। অনেক কৃষকের বর্তমানে এই অবস্থা।
সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানও বলেছেন, ‘খালের নানা অংশে বাঁধ দেয়ায় প্রবাহ হ্রাস পেয়ে খালগুলো মরে যেতে পারে। এখন পানির অভাবে তরমুজের বেশি ক্ষতি হচ্ছে। চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন লাখ লাখ টাকার। অতিদ্রুত খাল উদ্ধার করা জরুরি। খাল না থাকলে মানুষ কৃষিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।’ পাউবোর এক প্রকৌশলী বলেন, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় অনেকেই খাল দখল করে স্থাপনা বানিয়েছেন। ফলে এসব নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। তবুও মাঝে মাঝে অভিযান চলছে। খাল দখলমুক্ত করতে আবার দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
আমাদের প্রত্যাশা, সরকার অবিলম্বে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। অন্যথায়, জনগণের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা