২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
রাজধানীর আবাসিক এলাকায় যাতায়াতে দুর্ভোগ

অনেক সড়ক চলাচলের অনুপযোগী

-

রাজধানী ঢাকা মহানগীর মূল সড়কগুলো নিয়মিত সংস্কার করা হলেও আবাসিক এলাকার বেশির ভাগ রাস্তা ভাঙাচোরা। ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হওয়ায় এসব সড়কে চলাচল করতে চরম ভোগান্তির শিকার হন এলাকাবাসী। অবস্থা এমন যে, অলিগলির পথও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভাঙাচোরা এসব রাস্তায় নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণহানি না ঘটায় সেসব দুর্ঘটনা আলোচনায় আসছে না। বেহাল এসব সড়কের উন্নয়ন নিয়ে দুই সিটি করপোরেশনের তেমন মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। মাঝে মধ্যে শুধু কিছু ইটবালু দিয়ে নামকাওয়াস্তে গর্ত বন্ধ করে, যা দু’দিন না যেতেই আবার আগের হতশ্রী অবস্থায় ফিরে যায়।
নয়া দিগন্তের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, মগবাজার ওয়্যারলেস মোড় থেকে ভিকারুননিসা নূন স্কুলের দিকে যাওয়া সড়কটিতে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্তের। অথচ এ সড়কে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চলাচল করে। এই সড়কের সাথেই রমনা আইডিয়াল স্কুল, এসটি মেরিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। এসব প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায় ছোট-বড় গর্ত ছাড়াও আড়াআড়ি রাস্তা কাটা। ফ্যাশন চক্ষু হাসপাতালের সামনের রাস্তায়ও একইভাবে গর্ত তৈরি হয়েছে। এ পথে যাত্রীরা আশপাশের আবাসিক এলাকা, আদ্-দ্বীন হাসপাতাল ও ভিকারুননিসা নূন স্কুলসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। মগবাজার ওয়্যারলেস মোড় থেকে মধুবাগমুখী সড়কের ওয়্যারলেস রেলগেট পর্যন্ত রাস্তায়ও ছোটবড় অসংখ্য গর্ত। বাসাবোর বিশ্বরোড বৌদ্ধমন্দির থেকে কালীবাড়ি সড়কটি দীর্ঘ দিন থেকে প্রায় চলাচলের অনুপযোগী। সড়কের বেশির ভাগ অংশই ভাঙা। বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে যায়। তখন এ পথে চলাচল দায় হয়ে ওঠে। বছরের সবসময়ই রাস্তাটি ভাঙাচোরা থাকে। কর্তৃপক্ষ মাঝে মধ্যে কেবল ইটসুরকির গুঁড়া দিয়ে কোনো রকমে দায়সারাভাবে গর্তগুলো বন্ধ করে থাকে। এতে করে কয়েক দিন না যেতেই আগের অবস্থা হয় সড়কের। শুধু এ সড়কই নয়, বাসাবো এলাকার অলিগলিসহ বেশির ভাগ সড়কই চলাচলের অনুপোযোগী। বনশ্রীর মধ্যপাড়া সড়ক দীর্ঘ দিন থেকে ভাঙাচোরা। এ পথে রিকশায় চলতে গেলে পেটব্যথা হয়ে যায়। অসুস্থ কোনো ব্যক্তি গাড়িতেও সোজা হয়ে বসে থাকতে পারেন না।
এভাবে রাজধানীর বেশির ভাগ আবাসিক এলাকার সড়ক এমনকি অলিগলিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে; কিন্তু নিয়মিত সংস্কার করা হচ্ছে না। নাগরিক পরিষেবা বাড়াতে ২০১১ সালে ঢাকার নগর প্রশাসন দু’টি করপোরেশনের অধীনে নেয়া হয়। ২০১১ সালের ২৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধনী) বিল, ২০১১ পাসের মাধ্যমে ঢাকা শহর দ্বিখণ্ডিত হয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা সিটি করপোরেশন বিলুপ্ত হয়। সৃষ্টি হয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নামে দু’টি নগর প্রশাসন। বিভাজনের আগে সার্বিকভাবে ঢাকা শহর পরিচালনের দায়িত্বে ছিল ঢাকা সিটি করপোরেশন।
দুই ভাগে বিভক্ত হলেও ঢাকাবাসী কাক্সিক্ষত নাগরিকসেবা পাচ্ছেন, তা কেউ জোরগলায় বলতে পারবেন না। তারই নমুনা আবাসিক এলাকার সড়ক-অলিগলি সংস্কারবিহীন পড়ে থাকা। শুধু তা-ই নয়, বহু সড়ক দীর্ঘ দিন থেকে প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হলেও রাস্তাগুলো সংস্কারের ব্যাপারে দুই সিটি করপোরেশন উদাসীন। জনদুর্ভোগ দূর করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দু’টির এ উদাসীনতা অমার্জনীয়। তবে এ কথাও সত্যি, দেশে গণতান্ত্রিক বিশেষ করে ভোট-ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এখন যারা সব স্তরের জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের মধ্যে জবাবদিহির তাগিদ নেই বললেই চলে। ফলে দেশে নাগরিক দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে বৈ কমছে না। যার প্রতিফল ঢাকার নগর প্রশাসনেও জেঁকে বসেছে। যে কারণে এই মহানগরীর আবাসিক এলাকার সড়কগুলো দিনের পর দিন চলাচলের অনুপযোগী পড়ে থাকে। তারপরও আমরা বলতে চাই, যারা এসব কাজের দায়িত্বে রয়েছেন তারা যেন জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সড়কগুলো সংস্কারের পদক্ষেপ নেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার কমছে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন ফি গাজীপুরে কোরআন অবমাননার অভিযোগে কলেজছাত্র গ্রেফতার অযাচিত অস্থিরতা নয়, দায়িত্বশীল হোন সুখী : দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন বেসরকারি স্কুল-কলেজে সাত পদে এনটিএসসির অধীনে নিয়োগ এই মুহূর্তে হঠকারিতা দিকে যাওয়া জাতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে : মির্জা ফখরুল পাইকগাছার নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার সেনা অভ্যুত্থান, সেনা শাসন ও আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের দোসরদের মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : গোলাম পরওয়ার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও এডুকেশন মালয়েশিয়ার মধ্যে সমঝোতা স্মারক

সকল