২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
কর্ণফুলীতে অবৈধ বহু দুগ্ধ খামার

পরিবেশকে হুমকিমুক্ত করতে হবে

-

বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অদূরবর্তী কর্ণফুলী উপজেলার নানা জায়গায় আবাসিক এলাকায় বেআইনি পন্থায় গড়ে তোলা হয়েছে কয়েক শতাধিক ডেইরি ফার্ম অর্থাৎ, দুধের খামার। ফলে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। সহযোগী একটি দৈনিক পত্রিকার পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধির এক সচিত্র প্রতিবেদনে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, কিছু প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট অধিদফতরসহ প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করা হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি, পরিবেশ আদালত থেকে এসব বন্ধ করার জন্য রায় দেয়া হলেও প্রশাসন তা বাস্তবায়ন না করে অবহেলা প্রদর্শন করছে।
জানা গেছে, শাহ মীরপুর গ্রামের জনৈক ব্যক্তি বসতঘরসংলগ্ন জায়গাতে ২০০৭ সালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমোদন ছাড়াই পোলট্রি ও ডেইরি ফার্ম চালু করে গোটা এলাকায় পরিবেশকে দূষিত করেছেন। এতে বায়ুদূষণ ঘটে বিপর্যয় বাড়িয়ে দেয়। কর্ণফুলী উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন পরিবেশ অধিদফতরে অভিযোগ লিখিতভাবে দিলেও এর সুরাহা হয়নি। অবশেষে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ২০০৭ সালে এক ব্যক্তি বাদি হিসেবে পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের করেছিলেন। পরিবেশ আপিল বিভাগের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজের আদালতে (দীর্ঘ ১৪ বছর পরে) বিগত ১৮ নভেম্বর, ২০২১ সালে চট্টগ্রামের পরিবেশ সংক্রান্ত আদালতে স্থানীয় মামলা নং ২৮/২০১০ ধারা এবং বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯১৫-এর ধারা ৪(২) খ. ঙ ও ১২ ধারা অনুসারে এক রায়ে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের দায়ে দু’জন বিবাদিকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে বিনাশ্রম মাত্র তিন মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ নির্দেশ ৩০ দিনের মধ্যেই কার্যকর করতে পরিচালক, বিভাগীয় অফিস, পরিবেশ অধিদফতর, চট্টগ্রামকে আদেশ দেয়া হয়। অথচ কয়েক মাস অতিক্রান্ত হলেও মাননীয় আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন হয়নি রহস্যজনকভাবে।
এ দিকে স্থানীয় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এই এলাকাতে অবৈধ কয়েকটি ডেইরি ফার্ম নিয়ে এলাকার মানুষের অভিযোগ রয়েছে। তারা বলেছেন, পরিবেশ অধিদফতরের নির্দেশ না মেনে কিছু প্রতিষ্ঠান চালু হয়েছে।’ আলোচ্য মামলায় বাদি বলেছেন, আদালতের রায় সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন তা কার্যকর করছে না। বরং বিবাদি হুঙ্কার দিচ্ছে, ‘প্রশাসন আমাদের কথায় চলে।’ কর্ণফুলীর ইউএনও জানান, তিনি পরিবেশ অধিদফতরের চিঠি পাননি। তা ‘পেলে ব্যবস্থা’ নেয়া হবে। অধিদফতরের বিভাগীয় পরিচালকও ‘কোনো রায় পাননি আজ পর্যন্ত’। তবে তার ভাষায়, ‘বাদি রায়ের কপি দিয়েছেন। আদালতের রায়ের কপি হাতে এলে পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
এটা স্পষ্ট, প্রশাসনের যোগসাজশেই পরিবেশ আদালতের উল্লিখিত রায় বাস্তবায়ন হয়নি। তদুপরি, রায়ের আদেশ মানা যেখানে সবার জন্য বাধ্যতামূলক, সেখানে তার কোনো কপি দীর্ঘ দিনেও সংশ্লিষ্ট দফতরে না পৌঁছাকে ইচ্ছাকৃত বলে ধরে নিতে হয়। তা ছাড়া অন্যায়কারী আইন না মেনে কিভাবে হুমকি দেয় যে, তার পক্ষেই প্রশাসন?
আমাদের প্রত্যাশা, যেকোনোভাবে পরিবেশ দূষণ রোধসহ জনগণের স্বার্থরক্ষার যাবতীয় পদক্ষেপ নিয়ে দেশের সর্বত্র কর্তৃপক্ষ তার অবিচ্ছেদ্য দায়িত্ববোধের প্রমাণ রাখতে দ্বিধা করবে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement
আলিফের পরিবারকে এক কোটি টাকা দেবে শামসুল হক ফাউন্ডেশন জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই যাবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে : জামায়াত আমির এক সপ্তাহ পর বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার কমছে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন ফি গাজীপুরে কোরআন অবমাননার অভিযোগে কলেজছাত্র গ্রেফতার অযাচিত অস্থিরতা নয়, দায়িত্বশীল হোন সুখী : দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন বেসরকারি স্কুল-কলেজে সাত পদে এনটিএসসির অধীনে নিয়োগ এই মুহূর্তে হঠকারিতা দিকে যাওয়া জাতির জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে : মির্জা ফখরুল পাইকগাছার নাশকতা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

সকল