অবিলম্বে রোধ করুন
- ০২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
দক্ষিণবঙ্গে নৌযানগুলোতে সংঘটিত, মানবসৃষ্ট দুর্যোগের খবর ঘনঘন পাওয়া যায়। এ দিকে ভাঙনের মতো ভয়াল প্রাকৃতিক তাণ্ডব সেখানে অব্যাহত গতিতে চলছে এবং অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেমন, বিখ্যাত সন্ধ্যা নদীর মোহনায় ভাঙনে গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট পর্যন্ত বিপন্ন। নয়া দিগন্তের কাউখালী (পিরোজপুর) সংবাদদাতার পাঠানো প্রতিবেদনে এবার এটা জানিয়ে সাথে ভাঙনে বিলীয়মান একটি ফেরিঘাটের ছবিও দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার আমড়াজুড়ি ফেরিঘাটে সন্ধ্যা নদীতে আবার তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ‘গাবখান’ চ্যানেলের সংযোগস্থলে এ নদী সর্বদাই ভাঙনের শিকার। এতে ফেরিঘাট, দোকানপাটসহ বাজার ও আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ত্রিমুখী ভাঙনের এখন সম্মুখীন বরিশাল-মংলা সংযোগ সড়কের ফেরিঘাট। বাজারে অন্তত ৩০-৩৫টি নানা ধরনের দোকান রাক্ষুসে এ নদীতে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ভাঙনে বারবার এই ফেরিঘাট সরাতে হচ্ছে। সরেজমিন পরিদর্শনে এসব জানা যায়।
স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী জানালেন, আমড়াজুড়ি ইউনিয়নের মাঝ বরাবর সন্ধ্যা নদী থেকে বহুলালোচিত গাবখান চ্যানেলের জন্ম। এর মোহনার দু’পাশে দু’গ্রাম- আশোয়া আর আমড়াজুড়ি। কিন্তু নদীর করালগ্রাসে ইতোমধ্যে গ্রামদ্বয় বিলুপ্তির শেষপর্যায়ে। চ্যানেলের মোহনা থেকে নদীতে রয়েছে ফেরি যাতায়াত। ফেরিঘাট থেকে কাউখালী, স্বরূপকাঠি, বানারিপাড়া, উজিরপুর হয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটে যাতায়াত করা যায়। অন্য দিকে, যাতায়াত করা যায় পিরোজপুর, বাগেরহাট ও খুলনাতে। এখানে প্রত্যহ কয়েক শ’ যানবাহন চলাচল করে থাকে। অপর দিকে সন্ধ্যা নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রত্যেক দিন দোকানপাট, বসতবাটি, ধর্মীয় ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান প্রভৃতি ভেঙে গেছে। ঘাট অনেকবার স্থানান্তর করতে হয়েছে ভাঙনের দরুন। ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, তিনটি নদীর মোহনায় ফেরিঘাট। তাই এই এলাকায় ভাঙন। অবিলম্বে বেড়িবাঁধ দেয়া না হলে বিস্তীর্ণ এলাকাসহ কাউখালী-শেখেরহাট সড়ক আর থাকবে না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানেরও বক্তব্য, ‘দ্রুত পদক্ষেপ ছাড়া ভাঙন থেকে বাজার ও ফেরিঘাট রক্ষা করা যাবে না। পাইলিং করে বালুভর্তি বস্তা দিয়েও কোনো ফল হয়নি। এভাবে শেষরক্ষা পায়নি ঘাট, বাজার, ঘরবাড়ি, মসজিদ, দোকান প্রভৃতি। তিনি বলেছেন, যেকোনো সময়েই বিলীন হয়ে যেতে পারে কাউখালী-ঝালকাঠি সংক্ষিপ্ত সড়ক। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। কাউখালীর ইউএনও ভাঙন পরিদর্শন করে বলেন, বারবার ভাঙনের কারণে ঘাটের মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। আমরা এ ক্ষেত্রে যে ব্যবস্থা নিই, তা টেকেনি। স্থানীয় এমপি তা জানেন। তিনি ‘যত শিগগিরই’ পারা যায়, ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলা চেয়ারম্যানও ভাঙন সরেজমিন দেখেছেন। পিরোজপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী ভাঙনের বিষয়টি জানেন। তিনি বলেন, ‘পাইলিং যে ভেঙে গেছে, তা উপরে জানানো হয়েছে। আশা করা যায়, অবিলম্বে আমরা প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ পাবো।’
আমরা জোর দাবি জানাই জনগণের স্বার্থে পিরোজপুরসহ দেশে সর্বত্র ভাঙনরোধে অবিলম্বে পর্যাপ্ত স্থায়ী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য। অন্যথায় বারবার ভাঙনে জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা